ডেস্ক রিপোর্ট : ছয়টি মুসলিম রাষ্ট্র এবং শরণার্থীদের ক্ষেত্রে মার্কিন প্রেসিডেন্টের জারি করা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আইন শুক্রবার থেকে কার্যকর হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ এবার থেকে তাদের পক্ষে কষ্টসাধ্য বিষয় হয়ে দাঁড়াল। সিরিয়া, সুদান, সোমালিয়া, লিবিয়া, ইয়েমেন এবং ইরানের নাগরিক এবং শরণার্থীদের উপর নতুন ভিসা আইন বুধবারই জারি করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। কিন্তু ট্রাম্পের নতুন ভিসা আইন কার্যকর হওয়াতে বাংলাদেশের ভীত হওয়ার কিছু নেই। আজকাল
বিতর্কিত এই নতুন আইনে বলা হয়েছে, যে সব ভিসায় আগে থেকেই অনুমোদন দেওয়া হয়ে গিয়েছে তা বাতিল হবে না। কিন্তু নতুন করে যাঁরাই আমেরিকায় যেতে চাইবেন তাদের প্রমাণ দিতে হবে যে সেখানে তাদের নিকট আত্মীয় এমন কেউ থাকেন যিনি আমেরিকার বৈধ নাগরিক। নিকট আত্মীয়ের তালিকাও নির্দিষ্ট করে দিয়েছে আমেরিকা। নিকটাত্মীয় তালিকাভুক্ত করা হয়েছে মা, বাবা, স্ত্রী বা স্বামী, শিশুসন্তান, সাবালক সন্তান, ভাই, বোন, জামাই এবং পুত্রবধূকে। দিদা, দাদু, মামি, মামা, মাসি, মেসো, কাকিমা, কাকা, বৌদি, ভগ্নীপতি, ভাগ্নি, ভাগ্নে, ভাইঝি, ভাইপো, ভাবী স্ত্রী বা ভাবী স্বামী অথবা দূর সম্পর্কের আত্মীয় পড়ছেন না এই তালিকায়। এছাড়া সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, আমেরিকায় চাকরির বৈধ চুক্তিপত্র নিয়ে কর্মরত কর্মী, ছাত্রছাত্রী, বা কোনও বক্তৃতা দেওয়ার বিশেষ আমন্ত্রণে কেউ গেলে তারা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন না।
আমেরিকার বিমানবন্দরে ইতোমধ্যেই আইনজীবীরা রয়েছেন যাত্রীদের এই আইনটি সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়ার জন্য। এই উদ্যোগের কারণ হল যাদের বৈধ ভিসা রয়েছে বা আমেরিকার বৈধ নাগরিক তাদের কাছে যেন ভুল বার্তা না যায়। আমেরিকার সিভিল লিবার্টি ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এই বিষয়টি খুব গভীরভাবে মনিটরিং করতে হবে। তবে এই নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্ট নেবে অক্টোবর মাসে। যদিও এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আইন জরুরি বলে মনে করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি মনে করেন জাতীয় নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসবাদী হামলা রুখতে এই আইন প্রয়োজন। প্যারিস, লন্ডন, ব্রাসেলস এবং বার্লিনে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসবাদী হামলা এক নজির গড়েছে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ