রাজউকের সিদ্ধান্ত সোমবার মওদুদের উচ্ছেদের পর সেই প্লটের মালিকানা পাচ্ছে পুলিশ
আনোয়ারুল করিম : বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদকে উচ্ছেদের পর গুলশান এভিনিউয়ের বিতর্কিত সেই বাড়িটির মালিকানা পাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ। যদিও আগামী সোমবার রাজউকের বোর্ড সভায় পুলিশকে বাড়িটি দেওয়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে, তবে তার আগেই পুলিশের পক্ষ থেকে বাড়িটিতে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে পুলিশের কর্মকর্তাদের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ।
জানা যায়, গত ৭ জুন গুলশান এভিনিউয়ের ১৫৯ নম্বর বাড়ি থেকে মওদুদ আহমদকে উচ্ছেদের পরপরই বাড়িটি নিয়ে চিঠি চালাচালি শুরু করে বাংলাদেশ পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বাড়িটি বরাদ্দ দেওয়ার জন্য পূর্ত মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠানো হয়। পূর্ত মন্ত্রণালয় পরিত্যক্ত সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা বোর্ডের মতামত চায়। বোর্ড পূর্ত মন্ত্রণালয়কে জানায়, প্রতীকী মূল্যে বাড়িটি বরাদ্দ দেওয়া যেতে পারে। এরপর পূর্ত মন্ত্রণালয় তা রাজউককে পাঠালে ‘ওপর মহলের সিদ্ধান্তে’ রাজউক এতে সম্মতি দেয়। এরপরই পুলিশের পক্ষ থেকে ওই বাড়িটির দখল নিয়ে সেখানে সাইনবোর্ড ঝুলানো হয়। সূত্রের খবর, আগামী সোমবার ৩ জুলাই রাজউকের বোর্ড সভায় এটি চূড়ান্ত অনুমোদন পাবে।
এ বিষয়ে রাজউকের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান জানান, ‘গুলশান এভিনিউয়ের ১৫৯ নম্বর প্লটটি পুলিশকে বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়ে পূর্ত মন্ত্রণালয়ের চিঠি রাজউকের হাতে এসেছে। আগামী সোমবার এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।’
সূত্রের খবর, গত ২২ জুন পূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে পরিত্যক্ত সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা বোর্ডে চিঠি পাঠানো হয়। ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসে ২৮ জুন ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার হেলালুদ্দীন আহমদের স্বাক্ষরে পরিত্যক্ত সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা বোর্ড থেকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে চিঠির জবাব পৌঁছে। ওই চিঠিতে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের চিঠির সূত্র উল্লেখ করে বলা হয়, ১৫৯ গুলশান এভিনিউয়ের পরিত্যক্ত বাড়িটি বাংলাদেশ পুলিশের অনুকূলে প্রতীকী মূল্যে বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়ে পরিত্যক্ত সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা বোর্ডের কোনো আপত্তি নেই। সরকার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে। বোর্ডের অনাপত্তি পত্রে আরও বলা হয়, ঢাকা শহরে কর্মরত পুলিশ বিভাগের ঊর্ধ্বতন ও মধ্যম পর্যায়ের কর্মকর্তাদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ করে পুলিশ কর্মকর্তাদের আবাসন সমস্যা কিছুটা নিরসনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাড়িটি প্রতীকী মূল্যে বরাদ্দ দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছে। সম্পাদন : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী