শতাব্দির সেরা বিয়ে মেসি-আন্থনেজার
ডেস্ক রিপোর্ট : মঞ্চের উদ্দেশ্যে অ্যান্থনিজার-মেসি ‘আই ডু’- প্রায় ২৫ বছর ধরে চেনাজানা প্রাণপ্রিয় প্রেয়সী ও দুই সন্তানের মা আন্তোনেয়া রোকুজ্জোকে বললেন লিওনেল মেসি। প্রেমিক-প্রেমিকার সম্পর্ক রূপ নেয় ‘অনন্ত জীবনের’। আর্জেন্টিনায় নিজ জন্মস্থান রোসারিওতে এক জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে গাঁটছাড়া বাঁধলেন মেসি ও রোকুজ্জো। শুক্রবার তারকা ফুটবলার ও সেলেব্রিটিদের উপস্থিতিতে হয়ে গেল সংবাদমাধ্যমে মর্যাদা পাওয়া ‘শতাব্দীর সেরা বিয়ে’। ‘অন্য গ্রহের’
ফুটবলারের বিয়েতে হাজির হয়েছিলেন বন্ধু ও পরিবারের ২৫০ জনেরও বেশি সদস্য। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আর্জেন্টিনার বিমান ধরেছিলেন ফুটবলের কয়েকজনজ বড় তারকা। ৩০ বছরের মেসি ও ২৯ বছর বয়সী রোকুজ্জোর এ ঝলমলে বিয়ের অনুষ্ঠানে কোনও প্রভাব রাখতে পারেনি শাশুড়ী ও হবু বউয়ের বিরোধের গুঞ্জন। রোসারিওর বিলাসবহুল হোটেলে অনুষ্ঠিত এ ইভেন্টে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করেছিলেন নবদম্পতি। হোটেল কর্মচারীদেরও সব ধরনের গোপনীয়তা রক্ষা করতে বলা হয়েছিল। বড় এ দিনে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল সাড়ে চারশ পুলিশকে। ডেইলি মেইল, গোল, ইন্ডিপেনডেন্ট, বিবিসি
অতিথি ছিলেন জাভি, ফ্যাব্রিগাস ও পুয়োলপ্রায় ১৫০ জন সাংবাদিক ছিলেন সেখানে। তবে তাদের হোটেলের ভেতরে প্রবেশাধিকার ছিল না। হোটেলের মূল ফটকের সামনে লাল গালিচার একপাশে থেকে তারা যতটুকু পেরেছেন সংবাদ সংগ্রহ করেছেন, তারকা অতিথিদের ছবি তুলেছেন। অতিথিদের ছবি তোলা বা সাক্ষাৎকার দেওয়ার ব্যাপারটি তাদের ইচ্ছার উপর নির্ভর করছিল।
প্রথম অতিথি হিসেবে লাল গালিচায় পা রেখেছিলেন স্যামুয়েল এতো। গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি তিনি। এর পর একে একে আসেন সের্হিয়ো আগুয়েরা ও তার বান্ধবী কারিনা, সেস ফ্যাব্রিগাস ও বাগদত্তা ড্যানিয়েলা সিমান, রোকুজ্জোর বন্ধু ও মেসির জাতীয় দলের সতীর্থ এজেকুয়েল লাভেজ্জি, লুই সুয়ারেস ও তার স্ত্রী সোফিয়া বালবি এবং পপ তারকা শাকিরা ও তার স্বামী জেরার্দ পিকেসহ ফুটবলের আরও অনেক গণ্যমান্য তারকারা। মেসির বার্সেলোনা সতীর্থ নেইমার একাই এসেছিলেন। এর কারণ হিসেবে আর্জেন্টাইন গণমাধ্যম জানিয়েছে, কিছুদিন আগে বান্ধবী ব্রুনা মাকুইজাইনকে প্রস্তাব দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন ব্রাজিলিয়ান অধিনায়ক। অতিথি সারিতে সবার সামনে ছিল কিন্তু মেসি-রোকুজ্জোর দুই ছেলে থিয়াগো ও মাতেও।
মূল অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে বর-কনের সাজে মঞ্চে ওঠেন মেসি-রোকুজ্জো। বরের গায়ে ছিল নীল রঙের আরমানি স্যুট, যার নকশা করেছেন আর্জেন্টাইন ডিজাইনার ক্লাউদিও কোসানো। আর রোকুজ্জোর মারমেইড গাউনটি এসেছে স্পেন থেকে। স্প্যানিশ ডিজাইনার রোসা ক্লারার নকশা করা এ পোশাক বিয়ের আগের রাতে দুজন দেহরক্ষীর পাহারায় পৌঁছায় আর্জেন্টিনায়।