তিস্তার পানি বিপদসীমার উপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
নুরনবী সরকার, হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) : ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলাসহ জেলার তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলোতে বন্যা দেখা দিয়েছে। তিস্তার পানিতে প্রায় ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। হাতীবান্ধা উপজেলার ধুবনী গ্রামে গতকাল শনিবার সকালে দুইটি স্থানে বাঁধ ভেঙে গেছে। দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের দোয়ানী পয়েন্টে গতকাল শনিবার দুপুরে বিপদসীমার ১০ সে.মি. উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে থাকে।
পাউবো সূত্র জানায়, তিস্তা পাড়ের লোকজনের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভারত গজল ডোবা ব্যারেজের অধিকাংশ গেট খুলে দেওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে যাচ্ছে। প্রচ- গতিতে পানি বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে। তিস্তার পানিতে পাটগ্রামে অবস্থিত বহুল আলোচিত বিলুপ্ত ছিটমহল আঙ্গোরপোতা-দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিঙ্গিমারী, সির্ন্দুনা, পাটিকাপাড়া ও ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের চর এলাকার ১০ গ্রামের ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। কয়েক হাজার একর আমন ধানের বীজ তলাসহ অনেক ফসলি জমি ইতোমধ্যে তিস্তার পানিতে ডুবে গেছে।
হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গিমারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন দুলু জানান, ইতোমধ্যে চর এলাকাগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে গেছে। দক্ষিণ ধুবনী গ্রামে বাঁধের ২টি স্থান ভেঙে গেছে। তার অভিযোগ, বাঁধটি মেরামতের জন্য উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে আবেদন করা হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এখনো পানিবন্দি পরিবারগুলোর মাঝে কোনো খাবার বিতরণ করা হয়নি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড দোয়ানীর নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ভারত থেকে পানি আসায় তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে কারণে তিস্তা তীরবর্তী এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। আমরা বন্যা পরিস্থিতি মনিটরিং করছি। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান