কুষ্টিয়ায় জঙ্গি আস্তানায় ‘অপারেশন টেপিড পাঞ্চ’ অভিযান নব্য জেএমবির আমিরের স্ত্রীসহ দুই নারী আটক সুইসাইডাল ভেস্ট, পিস্তল ও বিস্ফোরক উদ্ধার
ইসমাঈল হুসাইন ইমু ও আব্দুল মুনিব (কুষ্টিয়া) : কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন টেপিড পাঞ্চ’। গতকাল শনিবার ভোর ৪টার দিকে উপজেলার বামনপাড়ার তালতলা মসজিদের পাশে টিনশেডের একতলা বাড়িটি ঘিরে রাখা হয়। এরপর সেখানে অভিযান চালিয়ে ৩ নারীকে আটক করা হয়।
প্রথম দফা অভিযান শেষে জঙ্গি আস্তানার আশেপাশের ৫শ মিটার এলাকার মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন। বিকাল ৫টার সময় ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান নিরাপত্তার স্বার্থে ১৪৪ ধারা জারি করেন। এর আগে খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি হাবিবুর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। ক্রাইম সিনের ৫ সদস্য ও বোমা নিষ্ক্রিয় দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এরপর আবারও অভিযান শুরু হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক তিন নারী জানিয়েছেন, তাদের একজন বর্তমানে নব্য জেএমবির আমির আইয়ুব বাচ্চু ওরফে সজিবের স্ত্রী তিথি, নব্য জেএমবির সেকেন্ড-ইন কমান্ড আরমানের স্ত্রী সুমাইয়া ও তালি বেগম নামে একজন রয়েছেন। তিথি ও সুমাইয়ার কোলে দুই শিশু ছিল। তাদেরও উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের এডিসি আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে কুষ্টিয়া, ভেড়ামারা থানা ও ডিবি পুলিশের একটি যৌথদল সেখানে অবস্থান নেয়।
কুষ্টিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার কামরুল হাসান জানান, ঢাকা থেকে আসা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ যৌথভাবে ভেড়ামারার বামনপাড়ার একটি বাড়িতে অভিযান শুরু করে। অভিযানের প্রথম পর্যায়ে জঙ্গি আইয়ুব বাচ্চুর স্ত্রী তিথিসহ তিন নারীকে আটক এবং দুটি সুইসাইডাল ভেস্ট, একটি পিস্তল, ম্যাগজিন, ও বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার এস এম মেহেদী হাসান জানান, ভোর ৪টার দিকে পুলিশ ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট যৌথভাবে বাড়িটিতে অভিযান শুরু করলে এক নারী সুইসাইডাল ভেস্ট পরা অবস্থায় পুলিশের ওপর হামলার চেষ্টা চালায়। এ সময় পুলিশ সদস্যরা তা বিস্ফোরিত হওয়ার আগেই তাকে ধরে ফেলে। পরে পর্যায়ক্রমে আরো দুজন নারীকে আটক করে। বামনপাড়ার একতলা ওই বাড়ির মালিকের নাম নাসিমা আক্তার। আটক নারীরা দুই মাস আগে তার কাছ থেকে বাড়িটি ভাড়া নিয়েছিলেন। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ