সুজন কৈরী : গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় নিহত ৫ জঙ্গিসহ ৬ জনের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) ফরেনসিক বিভাগ। গতকাল শনিবার দুপুরের দিকে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের (সিটি) তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক হুমায়ুন কবিরের কাছে প্রতিবেদনটি হস্তান্তর করা হয়।
ঢামেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান চিকিৎসক সোহেল মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, নিহত এই ৬ জনের প্রত্যেকের শরীরে গড়ে ২ থেকে ৩টি গুলির আঘাত পাওয়া গেছে। দুজনের শরীরে বোমার আঘাতও ছিল। এছাড়া একজনের বাম হাত ও গালে বোমা বিস্ফোরণের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে এই চিহ্নগুলো আত্মঘাতী বোমার, নাকি পুলিশের ছোড়া বোমার আঘাত থেকে তৈরি হয়েছে তা আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সোহেল মাহমুদ বলেন, আমাদের কাছ থেকে এফবিআই ও ভারতের একটি সংস্থা কিছু নমুনা নিয়েছিল। আমরা সেগুলোর প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু তাদের প্রতিবেদন এখনো পাওয়া যায়নি। পরে গত বৃহস্পতিবার আমরা নিজেদের প্রতিবেদন সম্পন্ন করেছি। যা সিটিটিসির কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। হামলার আগে জঙ্গিরা কোনো ধরনের শক্তিবর্ধক বা নেশাজাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করেছিল কিনা-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সোহেল মাহমুদ বলেন, আমাদের কেমিক্যাল এনালাইসিস রিপোর্টে এ ধরনের কোনো ড্রাগ বা উত্তেজক পদার্থ নেওয়ার প্রমাণ মেলেনি।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলা চালায় জঙ্গিরা। এতে নিহত ৩ বাংলাদেশিসহ ইতালির ৯, জাপানের ৭ এবং ভারতীয় একজন নাগরিক নিহত হন। এছাড়া জঙ্গিদের হামলার শুরুতেই ডিবির এসি রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিন নিহত হন। পরদিন সকালে সেনা কমান্ডো পরিচালিত অপারেশন থান্ডার বোল্টে নিহত হয় ৫ জঙ্গি। তারা হলো নিবরাস ইসলাম, মীর সামেহ মুবাশ্বের, রুহান ইবনে ইমতিয়াজ, খায়রুল ইসলাম পায়েল ও শফিকুল ইসলাম। এছাড়া সন্দেহভাজন হলি আর্টিজানের শেফ সাইফুল ইসলামও ওই অভিযানে নিহত হয়। এ ঘটনায় গুলশান থানায় মামলা দায়ের করা হয়। যা তদন্ত করছে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ