নদীভাঙন প্রতিরোধে স্বেচ্ছাশ্রম
বরিশাল প্রতিনিধি : ষাটোর্ধ্ব ভ্যানচালক খলিল মিয়া ঈদের যাত্রী পরিবহন বাদ দিয়ে তার ভ্যানগাড়িতে বাঁশ আনার কাজ করছেন। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আবুল হোসেন তার দোকান বন্ধ রেখে সেই বাঁশ কাটার কাজ করছেন। মিস্ত্রি আবু হানিফ নিজের রুটিরুজির কাজ ফেলে নদীপাড়ে বসে তৈরি করছেন বাঁশের খাঁচা। জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর-মীরগঞ্জ-মুলাদীর প্রধান সড়কটি সুগন্ধা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা করা। নদী ভাঙনের কবল থেকে বাবুগঞ্জ উপজেলার প্রধান সড়কটি রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে গত দুইদিন থেকে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করছেন ক্ষুদ্রকাঠি গ্রামের শতাধিক মানুষ। ভাঙন প্রতিরোধে সরকারি উদ্যোগের আশায় না থেকে নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে চাঁদা তুলে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে তারা তৈরি করছেন পার্কোপাইন নামের বিশেষ প্রযুক্তির বাঁশের খাঁচা। ক্ষুদ্রকাঠি গ্রামের মাহাবুব হোসেন নামের এক তরুণ ব্যবসায়ীর ডাকেই শুরু হয়েছে রাক্ষুসী সুগন্ধা নদীর বিরুদ্ধে গ্রামবাসীর অনন্য এমন নজিরবিহীন এক যুদ্ধ। নদীর বিরুদ্ধে এই অসম যুদ্ধে স্থানীয় বাসিন্দা অধ্যাপক গোলাম হোসেনসহ একজন-দুইজন করে এখন জড়িয়ে পড়েছেন গোটা ক্ষুদ্রকাঠি গ্রামের মানুষ। কর্মযজ্ঞে সম্পৃক্ত হয়েছেন বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট শেখ মো. টিপু সুলতান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপক কুমার রায়। শনিবার সকালে সাংসদ নদী ভাঙন প্রতিরোধে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে নির্মাণাধীন পার্কোপাইন (বিশেষ প্রযুক্তির ইটভর্তি বাঁশের খাঁচা) তৈরি কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান