মালয়েশিয়ায় অবৈধ শ্রমিকদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানকে স্বাগত জানাল বায়রা
এনামুল হক : মালয়েশিয়ায় অবৈধ বিদেশি শ্রমিকদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে বেসরকারি জনশক্তি রপ্তানিকারক মালিকদের সংগঠন বায়রা। এ ধরনের অভিযান বৈধ শ্রমিকদের মালয়েশিয়া যেতে উৎসাহিত করবে বলে মনে করেন বায়রার যুগ্ম-মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী। টিভিএনএ নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে একথা বলেন তিনি। সাময়িক বৈধতার জন্য মালয়েশিয়া সরকার ঘোষিত ই-কার্ডের আবেদনের সময় শেষ হলে বড় ধরনের অভিযানে নামে দেশটির অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। মালয়েশিয়ায় অবৈধ বিদেশি শ্রমিকদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানের প্রথম দিন ১ হাজার ৩৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫১৫ জনই বাংলাদেশি শ্রমিক। শনিবার মালয়েশিয়ার নিউ স্ট্রেইটস টাইমস অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শামীম আহমেদ চৌধুরী বলেন, সাময়িক বৈধতার জন্য মালয়েশিয়া সরকার ঘোষিত এনফোর্সমেন্ট কার্ডের (ই-কার্ড) জন্য আবেদন করার সময়সীমা শেষ হয়েছে। কিন্ত এর পরও অনেকেই ইচ্ছাকৃতভাবে অবৈধ থেকে যাচ্ছেন। এরই প্রেক্ষিতে বড় ধরনের অভিযানে নামে দেশটির অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। অভিযানে আটক হওয়াদের মধ্যে অর্ধেক বাংলাদেশি শ্রমিক। এর মধ্যে ট্যুরিস্ট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া শ্রমিকরাই উল্লেখযোগ্য। অবৈধ শ্রমিকদের কারণে বৈধ শ্রমিকরা মালয়েশিয়ায় সঠিকভাবে শ্রমের মূল্য পাচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রে নিয়োগদাতারা অবৈধ শ্রমিকদের নির্ধারিত পারিশ্রমিক দিতে চান না। এ বিষয়ে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয় না। শামীম আহমেদ চৌধুরী জানান, বিষয়টি সুরাহা করতে সাময়িক বৈধতার সুযোগ দেয় মালয়েশিয়া সরকার। কিন্ত এ সুযোগ যারা হাতছাড়া করেছেন তাদের ধরতে মালয়েশিয়া সরকার অভিযানে নেমেছে। এতে বৈধ বাংলাদেশিদের আতংকিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
তিনি জানান, একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন থেকে ওয়ার্ক পারমিটের নামে তরুণদের মালয়েশিয়া পাঠাচ্ছে। এর জন্য বেকার তরুণদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চক্রটি। মালয়েশিয়া যাওয়ার পর এসব তরুণ মধ্যস্বত্বভোগী দালালদের খপ্পরে পড়ে। সেখানে নামমাত্র বেতনে চাকরি করে তারা। আয়ের অর্ধেকই চলে যায় মধ্যস্বত্বভোগীদের পকেটে। এতে সংকুচিত হচ্ছে মালয়েশিয়ায় বৈধ শ্রমিকদের কর্মসংস্থান। সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী