বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ‘ইকোনমিক জোন’ করার দাবি আসামের মন্ত্রীর
মাছুম বিল্লাহ : বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে চোরাচালান, অবৈধ বাণিজ্য বন্ধের জন্য সীমান্তে বিশেষ ‘ইকোনমিক জোন’ তৈরির দাবি জানিয়েছেন শিক্ষা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। তিনি বলেছেন, সীমান্তে চলা অবৈধ বাণিজ্য দুদেশেরই রাজস্ব নষ্ট হচ্ছে। তার চেয়ে সীমান্তে বৈধ বাণিজ্য শুরু করলে লাভ। তাই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিশেষ ‘সীমান্ত ইকোনমিক জোন’ তৈরি করা হোক।’
আসামের গুয়াহাটিদে অনুষ্ঠিত ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস ডায়ালগ-এর সমাপনি দিন মঙ্গলবার এ প্রস্তাব দেন তিনি। আসাম রাজ্য সরকারের সেকেন্ড ম্যান হিসেবে পরিচিত হিমন্ত বিশ্ব শর্মা চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য বৃদ্ধিতে বিশেষ জোর দেন। তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে ভারতে মাল আনা-নেওয়া করলে পরিবহনের সময় ও খরচ বাঁচবে। বাংলাদেশও ‘ট্রানজিট-ফি’ বাবদ বছরে অনেক টাকা পেতে পারে।’ তিনি বলেন ‘বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ চলছে বলে অনেকের বিশ্বাস। এ বছরের শেষে জাতীয় নাগরিকপঞ্জির খসড়া প্রকাশ হলেই বোঝা যাবে রাজ্যে বহিরাগতের সংখ্যা কত। সেই তথ্য নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের দ্বারস্থ হব আমরা। তখন কিন্তু সেখানকার সরকারের সাহায্য চাই।
দুই দেশের ফেন্ডসশিপ ডায়ালগ শেষে ‘গুয়াহাটি ডিক্লারেশন’ সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়। সীমান্তকে ‘বিতর্কিত ক্ষেত্র’ নয়, ‘সমৃদ্ধি ক্ষেত্র’ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে স্থায়ী রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সৌহার্দ্যরে পরিবেশ বজায় রাখবে দুই পক্ষ। বাংলাদেশ ও উত্তর-পূর্বে মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ নিবিড়তর করা হবে। বিশেষ জোর দেওয়া হবে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পর্যটন, প্রযুক্তি, কৃষিক্ষেত্র, শিল্প ও জলপথ পরিবহনে। যেহেতু দুদেশের বাণিজ্যবিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ চট্টগ্রাম, তাই আগামী বছরের শুরুতে কক্সবাজারে নবম ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী বৈঠক বসবে। ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য সমাবেশও হবে। সম্পাদনা : মাকসুদা লিপি