শর্ত মানবে না কাতার যথাসময়ে উপযুক্ত জবাব দেবে সৌদি জোট
পরাগ মাঝি : অবরোধ থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে কাতারকে যে শর্তগুলো দিয়েছিলো সৌদি আরব ও এর মিত্ররা তা কোনভাবেই মানা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি। তিনি ওই শর্তগুলোকে অবাস্তব বলে উল্লেখ করেছেন। কাতারের এই সিদ্ধান্তকে মধ্যস্থতাকারী দেশ কুয়েত সৌদি জোটের কাছে পৌঁছে দেয়।
কাতারকে সৌদি আরব, বাহরাইন, আরব আমিরাত ও মিশর সহ অন্যান্য রাষ্ট্রগুলোর বেধে দেওয়া ১৩টি শর্ত মানার জন্য ৪ জুলাই মঙ্গলবার ছিলো শেষ দিন। শর্ত না মানায় বুধবার একটি বৈঠকে বসেছে অবরোধকারী দেশগুলো। বৈঠকে কাতারের শর্ত না মানার সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা করা হয়। আর বৈঠক শুরুর আগেই শর্ত না মানার জবাব কাতারকে যথা সময়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সৌদি জোটের নেতারা।
জঙ্গিবাদে সমর্থনের অভিযোগ এনে গত ৫ জুন কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন ও সীমান্ত অবরোধ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং মিসরসহ কয়েকটি দেশ। সম্পর্ক ছিন্ন করার দুই সপ্তাহ পর অবরোধ মুক্ত হওয়া ও সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের জন্য কাতারকে ১৩টি শর্ত দেওয়া হয়। এসব শর্তের মধ্যে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন সহ আল-জাজিরা চ্যানেল বন্ধ করে দেওয়ার দাবি করা হয়। শর্ত পূরণে ১০ দিনের সময়সীমা ২ জুলাই থেকে বাড়িয়ে ৪ জুলাই পর্যন্ত করা হয়।
নির্ধারিত সময়ে শর্ত না মানার কারণ হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আল-থানি জানান, ‘এটা আসলে সন্ত্রাসবাদের বিষয় না। এটা বাকস্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ।’
তবে, শর্ত মানা সম্ভব না হলেও আল-থানি জানান, সংলাপের মাধ্যমে সংকট সমাধান করতে চায় কাতার।
সোমবার ১৩ দফা শর্তের ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান জানাতে কুয়েত যান কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। দেশটির আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানির লেখা চিঠিটি কুয়েতের আমিরের কাছে হস্তান্তর করেন তিনি। আল-জাজিরা