এশিয়াসেরা নারী ব্যবসায়ী স্কুল থেকে ঝরে পরা আশা খেমকা
তানিয়া আলম তন্বী : রবীন্দ্রনাথ বারবার স্কুল পালাতেন, নজরুল বেশি দূর পড়তেই পারল না। লালন তো বুঝলই না স্কুল কি। এরপরও আজ মানুষ তাদের লেখা ও তাদের নিয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করে। ইংরেজিতে ফেল করা শেক্সপিয়ারের লেখা ইংরেজি উপন্যাস ছাড়া আপনি ডিগ্রি অর্জন করতে পারবেন না। এমন সব উদাহরণের ভিড়ে আরও এটি উদাহরণ যোগ করলেন ভারতীয় আশা খেমকা।
মাত্র ১৩ বছর বয়সেই স্কুল থেকে ঝরে পড়েন এবং সুন্দরী হওয়ার কারণে বিয়ে হয়ে যায় তার। এরপর স্বামী ও ৩ সন্তানের সঙ্গে ১৯৭৮ সালে একটিও ইংরেজি শব্দ না জেনেই দেশ ছেড়ে ইংল্যান্ডে চলে যান।
সেখানকার স্থানীয় ভাষা না বুঝলেও হতাশ হলেন না তিনি। বিভিন্ন শো থেকে ইংরেজি শিখেন ও কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করেন এবং তিনি বিশ্বাস করতেন এটি তার জীবন পরিবর্তনে সহায়তা করবে।
বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাত পার করে ৬৫ বছরে এসে ওয়েস্ট নটিংহামশায়ার কলেজের প্রিন্সিপ্রাল ও সিইও এবং এশিয়ার সেরা ব্যবসায়ী নারী হিসেবে নির্বাচিত হলেন বিহারের আশা খেমকা।
২০০৬ সালে তিনি ওয়েস্ট নটিংহামশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন প্রভাষক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তাকে ২০১২ সালে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ডেম কমান্ডার পদক দেওয়া হয়েছিল। এরপরও অনেক সম্মাননা পেয়েছেন আশা।
বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্যের নাগরিক হলেও ভারতেও সেবা প্রদানের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বিইং ইন্ডিয়ান