বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত নদীতে মৈত্রীসেতু হচ্ছে
আনোয়ারুল করিম : সীমান্তের জিরো লাইনের একটি নদীর ওপর ‘মৈত্রী সেতু’ নির্মাণে একমত হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত। সীমান্তে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় এবং বাণিজ্য বাড়াতে খাগড়াছড়ি ও মিজোরাম সীমান্তের খাউথলংটুইপুই নদীর উপর ওই সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে দুই দেশ। এই নদী বাংলাদেশে কর্ণফুলী নদী হিসেবে বয়ে এসেছে। বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রতিনিধিদল গতকাল শনিবার সেতু এলাকা পরিদর্শন করেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়।
বাংলাদেশি কর্মকর্তা রওশন আরা খানমের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সেতুর নির্মাণ এলাকা পরিদর্শনে গেছেন। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তারা মিজোরামের মামিত জেলার টালাবুং শহরে পৌঁছার পর বৈঠক করেন এবং খাউথল্যাংটুইপুই নদী জুড়ে উভয় দেশের মধ্যে প্রস্তাবিত সেতুর কাজ দ্রুততর করার বিষয়ে আলোচনা করেন। বৈঠকে রওশন আরা খানম বলেন, প্রস্তাবিত সেতু ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ হবে। এটি বাস্তবায়ন করার জন্য বাংলাদেশ সরকার বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এরই মধ্যে এই সেতুর ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন।’ মিজোরাম বাংলাদেশের সঙ্গে ৩১৮ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে।
এদিকে ত্রিপুরার সঙ্গে চট্টগ্রামের যোগাযোগ দ্রুত ও সহজ করতে ফেনী নদীর ওপর ভারত-বাংলা মৈত্রী সেতুর নির্মাণ কাজ শিগগিরই শুরু হবে। ভারতের দক্ষিণ ত্রিপুরার সাব্রুমের ডৌলবাড়ি থেকে ওপারে খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় পর্যন্ত ৪১২ মিটার দূরত্ব এ সেতুর মাধ্যমে যুক্ত হবে। সেতুটি চালু হলে ত্রিপুরার মধ্য দিয়ে ভবিষ্যতে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলো চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে পারবে। এ লক্ষ্যে ভারত ও বাংলাদেশ সেতু নির্মাণে সম্মত হয়। পুরো খরচ বহন করছে ভারত। সাব্রুম থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের দূরত্ব মাত্র ৭২ কিলোমিটার আর আগরতলার দূরত্ব ১০৪ কিলোমিটার। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ