ফরিদপুরে মরিচের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি
হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুর জেলায় চলতি বছর কাঁচা মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারমূল্য ভালো পাওয়ায় খুশি ফরিদপুর অঞ্চলের চাষীরা। তবে অতি বৃষ্টির কারণে গাছ মরে যাওয়ার আশংখা করছে চাষীরা। মরিচ গাছে পানি সহনশীল কোন জাত উদ্ভাবন করা গেলে আরও বেশী লাভবান হবেন বলে মনে করছেন তারা। আর কৃষি বিভাগ বলছে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষকেরা এখন মরিচ চাষ করছে। এতে বড়ধরনের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে অল্প বৃষ্টিতে মরিচ গাছের কোন ক্ষতি হবে না।
ফরিদপুর জেলায় চলতি বছর ব্যাপক ভাবে কাঁচা মরিচের আবাদ হয়েছে। জেলার ৯টি উপজেলায় কম বেশি মরিচের আবাদ হয়ে থাকে। তবে জেলার সবচেয়ে বেশী মরিচের আবাদ হয়ে থাকে মধুখালী উপজেলার বেশীর ভাগ জমিতে। মধুখালী উপজেলার মাঠগুলেতে এখন মরিচের ক্ষেতের সবুজের সমারহ। যেদিকে তাকাই শুধু মরিচ ক্ষেত চোখে পড়ে। মধুখালী উপজেলার প্রায় প্রতিটি পরিবারই মরিচের আবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে। চলতি বছর ফরিদপুর জেলা প্রায় ৫হাজার হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে শুধু মধুখালী উপজেলাতে আবাদ হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩হাজার হেক্টর জমিতে। চলতি বছর একটু আগেভাগেই মার্চের প্রথম সপ্তাহের দিকে মরিচের চারা রোপণ করেছে চাষীরা। আর চারা রোপণের দেড় মাসের মাথায় মরিচ তুলা শুরু করেছে। এক বিঘা (৩৩শতাংশ) জমিতে সবমিলিয়ে খরচ হয়েছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। বর্তমান বাজার মূল্য ঠিক থাকলে একবিঘা জমির মরিচ বিক্রি করতে পারবেন ৬০ থেকে ৭০হাজার টাকা। মধুখালী বাজারে মরিচ ব্যবসায়ী শামীম হোসেন জানান, মধুখালী উপজেলার উৎপাদিত মরিচের গুণগত মান অনেক ভাল। আর সে কারণে প্রতিদিন ট্রাক যোগে মধুখালী থেকে মরিচ চলে যায় দেশের বিভিন্ন বড় বড় শহরের। সম্পাদনা : মাসুদ রানা