নিজস্ব প্রতিবেদক : সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি ও প্রভাষক পদে নিয়োগ পরীক্ষা কেন্দ্র করে পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভাঙচুর করা হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে সূত্রাপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করা হয়েছে কলেজের পক্ষ থেকে। সোমবার দুপুরে কলেজ ভবনের অধ্যক্ষ আবুল বাশারের একান্ত সহকারীর কক্ষ ও ওয়েটিং রুমে এই ভাঙচুর করা হয়েছে বলে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আবুল বাশার। গত ৯ জুলাই কলেজের সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির চূড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহণ সম্পন্ন করা হয়। আর আজ ১১ জুলাই প্রভাষক পদের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করার কথা।
সূত্র জানায়, প্রভাষক পদের জন্য গ্রহণ করা লিখিত পরীক্ষায় অকৃতকার্য পাঁচজন শিক্ষার্থীসহ তাদের পক্ষের কয়েকজন বহিরাগত সোমবার দুপুরে অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। তারা অধ্যক্ষকে শাসিয়ে বলেন, লিখিত পরীক্ষা গ্রহণে অনিয়ম করা হয়েছে। এই পরীক্ষা তারা মানেন না। অধ্যক্ষ বলে দেন- তারা তাদের খাতা দেখতে পারবে। এতে কোনো সমস্যা নেই। পরীক্ষা গ্রহণে কোনো অনিয়ম হয়নি। এরপরই ক্ষুব্ধ ওইসব ব্যক্তি ভাঙচুর শুরু করেন।
ভাঙচুরকারীরা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) সমর্থিত বলে অভিযোগ আছে। তবে নাম ও রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন অধ্যক্ষ আবুল বাশার। অভিযোগ আরও আছে- ৯ জুলাই গ্রহণ করা সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতিতে রাজনৈতিক ও আর্থিক প্রভাব আছে। এসবের প্রভাবে যোগ্য সিনিয়রদের বাদ দিয়ে নেয়া হয়েছে জুনিয়রদের। একই কাজ করা হয়েছে প্রভাষক পদের ক্ষেত্রেও। ৯ জুলাই থেকে কলেজের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে। অভিযোগ অস্বীকার করে আবুল বাশার বলেন, যোগ্যতার ভিত্তিতেই লোকবল নেয়া হয়েছে। কোনো অনিয়ম হয়নি।
ভাঙচুরে স্বাচিপ সমর্থিতরা করেছে- এ অভিযোগের বিষয়ে সোমবার সন্ধ্যায় স্বাচিপের সভাপতি ও ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ গভার্নিং বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলানের সঙ্গে সোমবার বিকালে কয়েকবার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
সূত্রপুর থানার ওসি আশরাফ উদ্দিন ভাঙচুর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পরিস্থিতি যেন অশান্ত না হয়, সেজন্য পুলিশ সতর্কাবস্থানে আছে। এ ঘটনায় কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু