কিরণ সেখ : প্রধানমন্ত্রীর অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না বলেই বিএনপি সহায়ক সরকার চায় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনের ভাসানী মিলনায়তনে নগর বিএনপির (উত্তর) সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। এই দাবি অতীতে আওয়ামী লীগের ছিল। দেশের রাজনীতিতে সংস্কৃতি চালু হয়েছিল যে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জনগণ যাকে ইচ্ছে তাকে ভোট দিতে পারতো। কিন্তু আওয়ামী লীগ অনির্বাচিতভাবে ক্ষমতায় এসে সেই ব্যবস্থা বাতিল করেছে। তাই সরকারকে বলবো, দাম্ভিকতা ও অহংকার ছেড়ে মানুষের কথা চিন্তা-ভাবনা করে আলোচনা ও সমঝোতার ব্যবস্থা করুন। কারণ সবাই এখন সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়।
সরকার বিরাজনীতিকরণের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র রাজনীতির বাইরে নিয়ে যেতে উঠেপড়ে লেগেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের চরিত্র দ্বিমুখী। মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে। আর কাজ করে আরেক। তর্ক-বির্তক-যুক্তি বিশ্বাস করে না, তারা পেশী শক্তি বিশ্বাস করে।
বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, সরকারের প্রধান অস্ত্র হচ্ছে মিথ্যা মামলা। সুতরাং চলছে এক ব্যক্তির দুঃশাসন। এ থেকে বেরিয়ে আসতে সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ভয় দেখিয়েও কোনো লাভ নেই। তাই আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। এখনে কোনো ভেদাভেদ নেই। একটাই কাজ এই সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা।
নতুন সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রতিটি ব্যক্তির কাছে গিয়ে সদস্য সংগ্রহ করতে হবে। বলতে হবে, এটা বিএনপির আর্দশ ও উদ্দেশ্য। কিন্তু অনেক নেতাই বলে, আমি ৫ হাজার সদস্যের টাকা দিচ্ছি, সদস্য বানিয়ে নাও। আমি বলবো, দলকে নিজেদের পকেটে রাখার জন্য সদস্য বানাবেন না। যদি সেটা হয় তাহলে দল বিপন্ন হবে। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ