জাফর আহমদ : এক বছরের অধিক সময় আগে জাতীয় উৎপাদনশীলতা ও মজুরি কমিশন গঠন হলেও চূড়ান্ত হয়নি। অথচ সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তারা পে-কমিশন দুই বছর আগে থেকে কার্যকর হয়েছে। তারা এখন বাড়তি বেতন পাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীদর মধ্যে অসন্তোষ প্রকাশ করছে। এ নিয়ে করণীয় নির্ধারণে আজ বৈঠকেও বসছে রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের পাঁচ শিল্পের শ্রমিক-কর্মচারী নেতারা।
রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ খাত চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরশেন, বন শিল্প কর্পোরেশন, স্টিল শিল্প কর্পোরেশন, পাট শিল্প কর্পোরশেন ও রসায়ন শিল্প কর্পোরেশনে প্রায় ৮০ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী-কর্মকর্তা কর্মরত আছে। অন্যদিকে সরকারি খাতে প্রায় ১০ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে। ২০১৫ সালের জুলাই থেকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন বেতন কার্যকর হয়েছে। কিন্তু ততদিন রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীদের নতুন মজুরি নির্ধারণের জন্য কমিশনই গঠন হয়নি। এ নিয়ে শ্রমিক-কর্মচারীদের আন্দোলন কর্মসূচির পর ২০১৬ সালের শুরুর দিকে কমিশন গঠিত হয়। কিন্তু কমিশন গঠনের প্রায় এক বছর অতিবাহিত হলেও প্রতিবেদন দিতে পারেনি।
এ বিষয়ে সেক্টর কর্পোরেশন শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন সমন্বয় পরিষদের সমন্বয়ক খান সিরাজুল ইসলাম বলেন, পে-কমিশন ঘোষণার পর দুই বছর অধিক সময় অতিক্রম করলেও রাষ্ট্রায়ত্ত কল-কারখানার শ্রমিকদের নতুন মজুরি ঘোষণা করা হয়নি। পে-কমিশন কার্যকর হওয়ার পর বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। অথচ একই বাজারে বাজার করতে যেতে হয় রাষ্ট্রায়ত্ত কল-কারখানার শ্রমিকদেরও। জানা গেছে, এ ব্যাপারে রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ শিল্প খাতের শ্রমিক-কর্মচারীদের নেতারা আজ বৈঠকে বসছে। পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবে আজকে বৈঠকে বসছে সমন্ব^য় পরিষদ। এ ব্যাপারে জাতীয় উৎপাদনশীলতা ও মজুরি কমিশনের অন্যতম সদস্য শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ বলেন, মজুরি কমিশনের প্রতিবেদন ইতোমধ্যে প্রস্তুত হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জমাও দেওয়া হয়েছে। আশা করছি প্রয়োজনীয় অনুষ্ঠানিকতা সম্পাদন শেষে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানার শ্রমিকদের জন্য নতুন মজুরি ঘোষণা করা হবে।