গুজরাতের সর্বত্র বিক্ষোভ, দাবি উঠল-‘বদলা’ চাই পাকিস্তানকে ‘শিক্ষা’ দিক মোদি সরকার
ডেস্ক রিপোর্ট : অনন্তনাগে অমরনাথ তীর্থযাত্রীদের উপর মঙ্গলবারের হামলায় নিহত সাতজনের দেহ বিমানে করে নিয়ে আসা হল গুজরাতে। এদিন বিমান বাহিনীর বিমানে নিহত ও আহতদের নিয়ে আসা হয় সুরাত বিমানবন্দরে। বিমান বাহিনীর বিমান অবতরণের সঙ্গে সঙ্গে বিমানবন্দরে নেমে আসে শোকের ছায়া। পাশাপাশি এই নারকীয় হামলার প্রতিবাদে গুজরাতের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ছড়িয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় ‘সন্ত্রাসবাদীদের’ কুশপুতুল দাহ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। তারা এই হামলার ‘বদলা’ নিতে পাকিস্তানকে ‘শিক্ষা’ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে দাবি জানিয়েছেন। এবিপি
আহমেদাবাদ, রাজকোট, সুরাতের পাশাপাশি ভালসাদ, মান্ডবি, ভারুচের মতো শহরে পথে নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন প্রতিবাদকারীরা। ভালসাদে এক জঙ্গির কুশপুতুলকে ফাঁসিও দেওয়া হয়। সুরাতে বিমানবন্দরে মৃতদের শ্রদ্ধা জানাতে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি এবং উপমুখ্যমন্ত্রী নীতীন পটেল। বিমান থেকে প্রথমে নেমে আসেন আহত ও কোনওক্রমে রক্ষা পাওয়া তীর্থযাত্রীরা। শ্রীনগর থেকে তাদের বিমানে এককর্ট করে নিয়ে আসেন প্রতিরক্ষা জওয়ানরা। মুখ্যমন্ত্রী তীর্যযাত্রীদের কাছে গতকালের ঘটনা সম্পর্ক কথাবার্তা বলেন। আহতদের স্বাস্থ্যের খবর নেন। বিমানবন্দরের বাইরে ছিল অ্যাম্বুল্যান্স।
আহতদের সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় সুরাত হাসপাতালে। মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রী নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনও করেন। গতকালের হামলায় গুজরাতের যে তীর্থযাত্রীরা মারা গিয়েছেন তাদের পরিবারবর্গকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আহতদের প্রত্যেককে মাথাপিছু দেওয়া হবে দুই লক্ষ টাকা। মঙ্গলবার কাশ্মীরের অনন্তনাগে তীর্থযাত্রীদের একটি বাসে হামলা চালায় জঙ্গিরা। বাসটিতে ৫১ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে সাত জনের মৃত্যু হয়। ১৯ যাত্রী জখম হন। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন গুজরাতের বাসিন্দা। বাকি দুইজন মহারাষ্ট্রের। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ