শরিফুল ইসলাম ঝোকন, জামালপুর : ২৫০ শয্যার জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স দুটি । তাও আবার একটি বিকল আর অন্যটি থাকে গ্যারেজে তালাবন্দি। গাড়িচালক দুজনের একজন আব্দুল আজিজ । বর্তমানে তিনি জামালপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষের গাড়ি চালাচ্ছেন। আর অন্যজন রোমান জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালকের গাড়ি চালাচ্ছেন। এদিকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের অধিকাংশ রোগীদের ভাগ্যে সুচিকিৎসার নিশ্চয়তার বিপরীতে ঘটে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড। আর ময়মনসিংহে রোগী স্থানান্তরের প্রয়োজনে সরকারি এ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারে ভাড়া নির্ধারিত রয়েছে ১৩শ ৮০ টাকা। অপরদিকে বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্স মালিকগণ কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়া ২ হাজার ৫শ টাকা। ভাড়া প্রায় দ্বিগুণ হলেও জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা হতদরিদ্র মানুষগুলো বাধ্য হচ্ছেন সে এ্যাম্বুলেন্সগুলোই ব্যবহার করতে। আর এ কারণে বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্সগুলোর ভাড়া বাণিজ্যের পোয়াবারো চলছে। অথচ এতসব গুরুতর অভিযোগ থাকলেও উদাসীন রয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি সম্পর্কে জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ্যাম্বুলেন্স দু’টির মধ্যে একটি বিকল আর অন্যটি তালাবদ্ধ থাকে না বরং গাড়ীচালক দু’জনের একজন অসুস্থ ছিল আর একজন কখনও আমার গাড়ি চালায় কখনও মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের গাড়ি চালায়, অবসর পেলে এ্যাম্বুলেন্সও চালায়। তাই হয়ত গ্যারেজে তালাবদ্ধ ছিল। আর দ্বিগুণ ভাড়ায় বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্সে রোগিরা যাচ্ছে দালালদের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান