মামুন খান : অন্যায়ভাবে গুরুতর মারধর ও চাঁদা দাবির অভিযোগে যাত্রাবাড়ি থানা পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি), দুই অফিসার ইনচার্জসহ (ওসি) ১৪ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার একটি আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বুধবার ঢাকা সিএমএম আদালতে মামলাটি করেন মিসেস শাহনা আক্তার নামে এক সাংবাদিকের স্ত্রী। ঢাকা মহানগর হাকিম খুরশীদ আলম বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আগামি ১৯ জুলাই মামলাটির গ্রহণ বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
মামলায় আসামি করা হয়েছে পুলিশের যাত্রাবাড়ি থানার এসি ইফতেখারুল ইসলাম, যাত্রাবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (প্রশাসন) আনিসুর রহমান, অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) তোফায়েল আহমেদ, এসআই জাকির হোসেন, ওমর ফারুক, কবির হোসেন উকিল, শাহীন পারভেজ, লক্ষীকান্ত রায়, শহীদুল্লাহ, কেএম এনায়েত হোসেন, এএসআই আতোয়ার রহমান, কনস্টেবল সাইফুল, পুলিশের সোর্স খোকন ও সুমন।
বাদিনী মামলায় উল্লেখ করেন, তার স্বামী ফরমান উল্লাহ পেশায় সাংবাদিক ছিলেন। তিনি যাত্রাবাড়ি থানা পুলিশের বিভিন্ন অপকর্মের ফিরিস্তি দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়সহ পুলিশের বিভিন্ন উচ্চপদস্থ ব্যক্তির কাছে মে-জুন মাসে পৃথক ৩টি দরখাস্ত প্রেরণ করেন। আসামিরা দরখাস্তের কথা জানতে পেরে ফরমানকে ফাঁদে ফেলার কৌশল খুঁজতে থাকেন। গত ২১ জুন আসামিরা অন্যায়ভাবে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে মারধর করে হাত পা ভেঙ্গে দেয়। বাদিনী তার স্বামীকে ছেড়ে দিতে বললে ৬ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে পুলিশ। তাদের দাবি মতো ২ লাখ টাকা বাদিনী আসামিদের প্রদান করেন। ২২ জুন বাদিনী থানায় তার স্বামীর খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারেন তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখান থেকে তার বিরুদ্ধে ৩টি মামলা দিয়ে কোর্টে চালান করা হয়। পুলিশের অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে নির্যাতিত হওয়ার বিচার চেয়ে তিনি আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন।
এ বিষয়ে পুলিশের ডিসি (প্রসিকিউশন) আনিসুর রহমান বলেন, বাদিনীর স্বামী একজন মাদক ব্যবসায়ী। মামলা থেকে বাঁচতেই আসামি তার স্ত্রীকে দিয়ে এ মামলা করিয়েছে। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ