দোয়া একটি বিশেষ ইবাদত
া শরিফুল ইসলাম
মুসলমানদের কাছে দোয়া শব্দটি ব্যাপক পরিচিত। মুসলমানরা চলতে ফিরতে একে অন্যের কাছে দোয়া প্রার্থনা করে। সবাই সবাই সবার কাছে কোনো না কোনো উসিলায় দোয়া চান। আর বিপদ-আপদের সময় তো দোয়া আমাদের মুখে লেগেই থাকে। বস্তুত দোয়া শুধু প্রয়োজনে নয়, দোয়া একটি ইবাদত বিশেষ।
ইসলামের পরিভাষায়, দোয়া শব্দের আক্ষরিক অর্থ ;আবাহন বা ডাকা, যা একটি পদ্ধতিসিদ্ধ মিনতি প্রক্রিয়া। অভিজ্ঞ আলেমরা বলেন, দোয়া একটি আমল ও স্বতন্ত্র ইবাদত। তাই দোয়ায় যার বিশ্বাস নেই, তার ঈমান নেই। এক হাদিসে রাসূলে কারিম (সা.) বলেন,দোয়া করা হুবহু ইবাদত। অতপর তিনি কোরআনের এই আয়াত পেশ করেন,তোমাদের পালনকর্তা বলেন, তোমরা আমার নিকট দোয়া কর, আমি তোমাদের দোয়া কবুল করবো। (তিরমিজি, নাসাঈ ও ইবনে মাজা)
দোয়া প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা বলেন,তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিবো। হজরত নোমান বিন বশির থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,দোয়া হচ্ছে ইবাদত। (আহমদ, আবু দাউদ, তিরমিজি ও ইবনে মাজা)
এখানে সম্পর্কিত কয়েকটি হাদিস উল্লেখ করা হলো: হজরত আবু সাঈদ (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, কোনো মুসলমান যদি এমন দোয়া করে যাতে কোনো গুনাহ বা আত্মীয়তা ছিন্ন করার আহবান না থাকে, তাহলে আল্লাহপাক তাকে তিনটির যে কোনো একটি বিনিময় দান করেন- ১. হয় সাথে সাথে তার দোয়া কবুল করেন, ২. না হয় আখেরাতের জন্য সঞ্চিত রাখেন, ৩. এ পরিমাণ ক্ষতিকর কিছু থেকে তাকে হেফাজত করেন। তখন সাহাবারা (রা.) বলল, তাহলে আমরা বেশি বেশি দোয়া করবো। জবাবে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, আল্লাহ সবচেয়ে অধিক দাতা। (তিরমিজি) হজরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) ইরশাদ করেন,দোয়া মুমিনের হাতিয়ার, দ্বীনের খুঁটি এবং আসমান ও জমিনের আলো। (হাকেম)
হজরত আবদুল্লাহ বিন ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে বিপদ নাজিল হয়েছে বা এখনো নাজিল হয়নি তার জন্য দোয়া উপকারী। হে আল্লাহর বান্দারা! তোমাদের দোয়া করা জরুরি।