তরিকুল ইসলাম সুমন : বন্যার শুরুতে অবৈধভাবে চাল মজুদকারী ১৬ হাজার মিল মালিককে (মিলার) চিহ্নিত করে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এসব মিলারদের কাছ থেকে আগামী ৩ বছর কোনো চাল কেনা হবে না বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে চাল আমদানি পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, হাওড়ে বন্যার পর গত কয়েক মাস ধরে দেশে চালের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। ক্রমেই বাড়ছিল চালের দাম। বরাবরের মতো এবারো চালের দাম বৃদ্ধির জন্য অসাধু ব্যবসায়ীরা দায়ি।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, বাজারে চালের মূল্য বৃদ্ধির একমাত্র কারণ হচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা মজুদ করেছিল। হাওড় অঞ্চলে বন্যা হওয়ার পর থেকেই তারা মজুদ শুরু করেছিল। আমরা যে (বোরোর) ক্রয় মূল্য ৩৪ টাকা দিয়েছিলাম, বাজারের দামের সঙ্গে এর বিরাট ফারাক ছিল। যার ফলশ্রুতিতে আমরা (বোরো) সংগ্রহ করতে পারিনি।
কামরুল ইসলাম বলেন, চালের আমদানি শুল্ক উঠিয়ে দেওয়ার পর ভারত থেকে চাল আসছে। ভারত যদিও তাদের চালের মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে। তারপরও যেভাবে চাল আসছে তাতে যারা মজুদ করেছিল এবং এতদিন পর্যন্ত যে সব মিলাররা চুক্তি করেনি তারা এখন বরং পস্তাচ্ছে। ক্রমান্বয়ে তারা তাদের মজুদ ছেড়ে দিচ্ছে। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ