ডেস্ক রিপোর্ট : উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা কক্ষ থেকে বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। তার জেরে রাজ্যের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বেগতিক দেখে শুক্রবার অধিবেশন শুরুর আগে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। অধিবেশনের শুরুতে নিজেই সে কথা জানান। বলেন, ‘ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ এমন কা- ঘটিয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে রাজ্যের ২২ কোটি মানুষের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে বলা কথা। কোয়ায় রাজ্যের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হবে, তা নয় বিধানসভায় দাঁড়িয়ে নিজেদের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে সাফাই দিতে হচ্ছে। এই অন্যায় বরদাশত করা হবে না। পূর্ণ তদন্ত করা হবে যাতে অপরাধীর আসল চেহারাটা সামনে আসে।’ আজকাল
ভবিষ্যতে দেশের বৃহত্তম বিধানসভায় যাতে এই ঘটনার পুনারাবৃত্তি না ঘটে তার জন্য বেশকিছু নির্দেশও জারি করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, ‘বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন কারও মোবাইল ফোন বেজে উঠলে আলোচনায় ব্যাঘাত ঘটে। তাই ফোন সাইলেন্ট মোডে রাখাই ভাল। ব্যাগপত্র এবং মোবাইল জমা দিয়ে যাতে আলোচনা কক্ষে ঢোকা যায়, সর্বসম্মতিতে খুব শিগগির সেই ব্যবস্থা করা হবে। আলোচনা চলাকালীন অনেক সময় লেখালেখির প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে শুধু খাতা-পেন সঙ্গে থাকলেই হবে।’
ঝামেলার সূত্রপাত গত বুধবার। লক্ষেèৗতে বিধানসভা কক্ষ থেকে ৬০ গ্রাম ওজনের পাওডার উদ্ধার হয়। সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক মানো পা-ের আসনের নিচে রাখা ছিল সেটি। সন্দেহ জাগলে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার রাতেই তার রিপোর্ট হাতে আসে। তাতে উদ্ধার হওয়া পাওডারকে প্লাস্টিক বিস্ফোরক (পিইটিএন) বলে চিহ্নিত করা হয়। পিইটিএন আসলে পেন্টাএরিথ্রিটল টেট্রা নাইট্রেট কম্পাউন্ড। শক্তিশালী বোমা তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। এতটাই শক্তিশালী যে ১০০ গ্রাম পেন্টাএরিথ্রিটল টেট্রা নাইট্রেট নিমেষে একটি গাড়িকে ধুলোয় মিশিয়ে দিতে পারে। এই ধরনের বিস্ফোরকের সাধারণত কোনো রঙ থাকে না। তাই ডগ স্কোয়াডের পক্ষেও সনাক্ত করা শক্ত।
এরপরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাজ্যের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন বিরোধীরা। কড়া সমালোচনার মুখে পড়তে হয় যোগীকে। সমাজবাদী পার্টির নেতা রাজেন্দ্র চৌধুরি বলেন, ‘বিধানসভা কক্ষের মধ্যে বিস্ফোরক! তাহলেই ভাবুন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে।’ বিষয়টির পূর্ণ তদন্তের দাবি তুলতে শুরু করেন তারা। তারপরই নিরাপত্তা আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের ডাক দেন যোগী। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ