সোহেলকে কলকাতা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার দাবি জানাবে এনআইএ
বিপ্লব বিশ্বাস : হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় গ্রেনেড সরবরাহকারী নব্য জেএমবির সোহেল মাহফুজ ওরফে হাতকাটা মাহফুজকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আজ নতুবা আগামীকাল ঢাকায় আসছে ভারতের সর্বোচ্চ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থ ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) গোয়ন্দারা। এনআইএ’র আইজি সঞ্জীব সিংয়ের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি টিম আসার কথা রয়েছে। এই টিমে রয়েছেন এনআইএ’র আইজি বিক্রম খালটে। বাকি এক সদস্যের নাম জানা যায়নি।
২০১৪ সালের ২ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের খাগড়াগড়ে বাংলাদেশের জেএমবির ঘাঁটিতে বোমা বিস্ফোরণে মোস্ট ওয়ানটেড আসামি নাসিরউল্লাহ ওরফে হাতকাটা নাসিরুল্লাহ। ঢাকার গোয়েন্দাদের কাছে এই নাসিরুল্লাহ হাতকাটা সোহেল মাহফুজ নামে পরিচিত। গত ৬ জুলাই বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের চাঁপাইনবাবগঞ্জে গ্রেফতারকৃত হাতকাটা সোহেল মাহফুজই এই নাসিরউল্লাহ।
এনআইএ সূত্রে জানা গেছে, আজ রোববার কোলকাতা থেকে এনআইএ’র টিমটি ঢাকায় উড়াল দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে বলে এনআইএ’র এক কর্মকর্তা ভারতের একটি গণমাধ্যমে জানান ‘নাসিরউল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য প্রস্তুতির কাজ চলছে। এটি শেষ হলেই আমরা ঢাকায় উড়াল দিব।’ সে ক্ষেত্রে রোববার না হয়ে সোমবারও ঢাকায় পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে ওই কর্মকর্তা জানান। বাংলাদেশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কর্মকর্তাদের কাছে নাসিরউল্লাহকে কোলকাতা এনে জিজ্ঞাসাবাদ করার দাবি জানানো হবে। এ জন্য দুই দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে চিঠি চালাচালিও করা হবে বলে ওই কর্মকর্তা বলেন। পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের খাগড়াগড়ে যে বিস্ফোরণ ঘটেছিল, তাতে সব মিলিয়ে মোট ৩০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে এনআইএ। ঘটনায় ১০ জন ফেরার দেখানো হয়। চার্জশিটে থাকা ৩০ জনের মধ্যে ৬ জন বাংলাদেশি। এর মধ্যে সাজিদ ও শরিফুলকে গ্রেফতার করে এনআইএ। কওসার, তালহা শেখ, সইদুল ও নাসিরউল্লাহর খোঁজ চলছিল। নাসিরউল্লাহর মাথার দাম ১০ লাখ টাকা ধার্য করা হয়েছিল।
এনআইএ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে কথা বলে তারা অনেকটাই নিশ্চিত, এই সোহেল মাহফুজই বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরক ঘটনার মূল অভিযুক্ত হাতকাটা নাসিরউল্লাহ। তাকে জেরা করার পাশাপাশি কোলকাতায় নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ