প্রিয়াংকা পান্ডে: ‘তেসলা’ ও ‘স্পেস-এক্স’র প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্কের মতে, আগামী ১৩ বছরের মধ্যেই মানুষের সমকক্ষ হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্রা। ২০৩০ সালের মধ্যে মানবজাতিকে টেক্কা দিতে পারবে এই কৃত্রিম মস্তিষ্ক। টুইটারে একটি বিবৃতির প্রতিউত্তরে একথা বলেন তিনি। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায়ও পাওয়া গেছে একইরকম তথ্য। প্রযুক্তিগত দিক থেকে এই তথ্য সুখকর হলেও মানবজাতির জন্য এটি মোটেও আনন্দের খবর নয়। যুগের পরিবর্তনে হয়তো রোবোকপ, টার্মিনেটর অথবা ট্রান্সফরমারের সঙ্গে সত্যিই যুদ্ধ করতে হতে পারে মানুষের। সিনেমার কথা আলাদা, বাস্তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে মানুষ আদৌ কি পারবে!
অক্সফোর্ডে গবেষণায় বলছে, আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে ভাষা অনুবাদে মানুষের থেকে এগিয়ে থাকবে মেশিন এবং স্কুলের রচনা লেখায় দক্ষতা পাবে ২০১৬ সালের মধ্যেই।
আগামী দশ বছরের মধ্যে গাড়ি চালক হিসেবে এবং ২০৩১ সালের মধ্যে বিক্রয়কর্মী হিসেবে জায়গা দখল করবে মেশিন।
এছাড়া, ২০৪৯ সালের মধ্যে বই লেখায় ও ২০৫৩ সালের মধ্যে বড় ডাক্তারি অস্ত্রোপচারের মূলে থাকবে তারা। এমনকি আগামী ১২০ বছরের মধ্যে মানুষের করা সকল কাজ একটি মেশিনই করতে পারবে বলে ধারণা করছে গবেষক দল।
ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সম্প্রতি নতুন একটি স্নায়ুবিজ্ঞান বিষয়ক কোম্পানির উদ্বোধন করেছেন ইলন মাস্ক। তার এই কোম্পানি এমন সব কম্পিউটার বানানোর চেষ্টা করছে যা মানুষের চিন্তাধারাকে শক্তি হিসেবে ব্যবহার করে বিভিন্ন মানসিক রোগের চিকিৎসা করবে।
প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে এ পর্যন্ত অনেকদূর পর্যন্ত গিয়েছেন মাস্ক। ইলেক্ট্রিক গাড়ি এনেছেন তিনি। ২০৩০ সালের মধ্যে মঙ্গল গ্রহে মানুষের বাসযোগ্য বসতি বানানোর আশা রয়েছে তার। ফক্সনিউজ