ছেলের কেলেঙ্কারির কারণে পদত্যাগে বাধ্য হতে পারেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প
মুজতাহিদ ফারুকী : অনেকেরই ধারণা, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অভিশংসনের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে অপসারিত হবেন। কিন্তু তিনি নিজে থেকেই পদত্যাগ করবেন এমন সম্ভাবনা ক্রমশ বাড়ছে। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের একজন শীর্ষস্থানীয় অধ্যাপক পূর্বাভাস দিয়েছেন যে, ট্রাম্প তার ছেলে ও জামাতার কেলেঙ্কারির কারণে সৃষ্ট সাংবিধানিক সঙ্কটের মুখে পদত্যাগে বাধ্য হতে পারেন।
প্রফেসর ফিলিপ ববিট প্রেসিডেন্টের পরিবারের সদস্যদের বিচারের মুখোমুখি হওয়ার পরিণামে তাঁর পদত্যাগের বিষয়টিকে ‘সবচেয়ে সম্ভাব্য ঘটনা’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
ট্রাম্প জুনিয়রের প্রকাশিত ই-মেল থেকে এটা পরিস্কার হয়েছে যে, তিনি ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার এবং নির্বাচনকালীন রিপাবলিকান দলের প্রচারণা দলের চেয়ারম্যান পল ম্যানাফোর্টকে নিয়ে ক্রেমলিনের একজন আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করেছেন।
গত নভেম্বরের নির্বাচনের আগে হিলারি ক্লিনটন সম্পর্কে সন্দেহজনক তথ্য দেওয়ার প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ট্রাম্প জুনিয়র লিখেছিলেন, ‘আপনি যেমনটা জানিয়েছেন এটা যদি সেরকমই হয় তাহলে আমি এটা পছন্দ করবো, বিশেষ করে গ্রীষ্মের পরবর্তী কোনও সময়ে।’
দ্য ইভনিং স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকায় প্রফেসর ববিট লিখেছেন, ‘মি. ট্রাম্পের নীতিগত লক্ষ্য যাই থাকুক না কেন, দীর্ঘদিন ধরেই এটা স্পষ্ট ছিলো যে, বিগত নির্বাচনী প্রচারণায় আধিপত্যশীল দুটি রাজবংশকে ধ্বংস করে একটি রাজবংশ সৃষ্টি করাই ছিলো তার সবচয়ে বড় লক্ষ্য।’
প্রফেসর ববিট লিখেছেন, ‘পদত্যাগের বিষয়টি এখন যতই দূরবর্তী মনে হোক না কেন, ভবিষ্যতে বিচারের মুখোমুখি হওয়া থেকে নিজেকে এবং সন্তানদের কারাগারে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হয়তো পদত্যাগের পথই বেছে নেবেন।’
তিনি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের বিষয় নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে সহযোগিতার অভিযোগ থেকে যে তালগোল পাকানো অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য পদত্যাগই সবচেয়ে ভালো উপায় হতে পারে।
উল্লেখ্য, সাবেক প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের বিরুদ্ধে যেসব কারণে অভিশংসন করা হয়েছিলো তার অন্যতম কারণ ছিলো এই যে, তিনি আদালতে অনুকূল আচরণ পাবার আশায় একজন বিচারককে পদোন্নতি দেয়ার প্রস্তাব করেছিলেন।
সূত্র: দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট