নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী : ওয়ান ইলেভেনের সেনা সমর্থিত সরকার আওয়ামী লীগের সভানেত্রী এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলো। ১/১১ এর সেনা সমর্থিত সরকার আসার পর আমরা শুনেছিলাম মাইনাস টুর কথা। কিন্তু সেই পরিকল্পনা ছিলো মাইনাস ওয়ান। এই অভিযোগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে সফররত আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি ১৫ জুলাই (নিউইয়র্ক সময়) সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের পালকি পার্টি সেন্টারে ২০০৭ সালের ১/১১ সরকার কর্তৃক শেখ হাসিনাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার ও কারাবরণ দিবস উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিক লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন।
এনা জানায়, ডা. দীপু মনি বলেন, ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলো বিএনপি এবং জামায়াত। তারা বাংলাদেশকে দুর্নীতিবাজ দেশ হিসাবে বিশ্বে পরিচিত করে। বাংলাদেশকে সন্ত্রাস ও জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করে। গ্রেফতার করতে হলে করতে হবে খালেদা জিয়াকে। কিন্তু ’৭১ সালে পাকিস্তানি স্বৈরশাসকদের ন্যায় গ্রেফতার করা হয় শেখ হাসিনা।
তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, গ্রেফতার থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার সাথে বিমাতাসুলভ আচরণ করা হয়েছে। কারাগারে তার খাদ্যে বিষ মিশিয়ে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। তাকে ঠিকমত চিকিৎসা দেয়া হয়নি, কোর্টে আইনজীবীদের সাথে কথা বলতে দেয়নি। যে কারাগারে তাকে রাখা হয় তা ছিলো অস্বাস্থ্যকর। যাতে করে তিনি অসুস্থ হয়ে মারা যান। বিদেশ থেকে দেশে যেতে চাইলে তাকে আটকে দেয়া হয়। এ ছাড়াও জেল কোড ভেঙ্গে তাকে ১১ মাস নির্জন কারাগারে রাখা হয়।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ১৬ জুলাই বাংলাদেশের রাজনীতির কালো অধ্যায়। যারাই বাংলাদেশে সেনা সমর্থিত সরকার ক্ষমতায় আসে তখনই তারা বলেন, নির্বাচন করে চলে যাবো। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় দল ভেঙ্গে নতুন দল করে তারাই ক্ষমতায় থেকে যাবার চেষ্টা করে, কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ কোনো দিন স্বৈরশাসন মেনে নেয়নি। আন্দোলন করে শেখ হাসিনাকেও মুক্ত করে এনেছিলো। যে কারণে তিনি এখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। তার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে। ইতিমধ্যেই তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিক লীগের সভাপতি কাজী আজিজুল হক খোকন। সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমেদের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামসুদ্দিন আজাদ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, সহ-সভাপতি আবুল কাশেম, লুৎফুল করিম, শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সমন্বয়কারী আব্দুর রহিম বাদশা, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইরীন পারভীন, উপদেষ্টা তোফায়েল চৌধুরী, নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আজমল, শেখ হাসিনা মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কায়কোবাদ খান প্রমুখ।