উম্মুল ওয়ারা সুইটি : জাতীয় সংসদ নির্বাচন এলেই রাজনৈতিক তৃতীয় মাত্রার বিষয়টি সামনে আসে। এবার তার ব্যত্যয় ঘটেনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থেকে অংশ নিতেই এমন শক্তি গড়ে তোলার মূল উদ্দেশ্য কি না; নাকি এর পেছনে অন্যকোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কাজ করছে- তা নিয়ে আলোচনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। এই উদ্যোগের সঙ্গে এমন সব রাজনীতিক যুক্ত, যারা নানা কারণেই রাজনীতিতে বেশ আলোচিত ও সমালোচিত। আবার ডান ও বাম ঘরাণার এসব রাজনীতিকদের এক প্লাটফর্মে এসে নতুন রাজনৈতিক ফ্রন্ট গড়ার খবরেও রাজনীতিতে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
দেশের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেছেন, এই বিষয়টি এখন রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। নির্বাচনের আগে অনেক নামধামহীন দলগুলো জোটবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করে। এটা রাজনীতিতে একটা ভালো দিক। তবে এই দলগুলোর অবশ্যই উচিত হলো নির্বাচনকে ঘিরে দলকে শক্তিশালী করা এবং পরবর্তী নির্বাচনের জন্য নিজেদের যোগ্যতা ও সক্ষমতা বাড়ানো।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, জোট গঠনের উদ্যোগের সঙ্গে যারা জড়িত, তারা সবাই গভীরভাবে রাজনীতির মানুষ। তাদের রাজনীতির বাইরে অন্য আকাঙ্খা থাকার কথা নয়। তারা রাজনীতির সঙ্গে থাকতে চান। নিজেদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে চান। তিনি বলেন, এরা অনেকেই নানা কারণে আওয়ামী লীগ বা বিএনপির সঙ্গে আদর্শিকভাবে থাকতে চান না। তাই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য ঐকত্যে পৌঁছান। এদের অনেকেই তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে আওয়ামী লীগ থেকে বের হয়েছে। আবার বিএনপিতে জামায়াত থাকায় সেখানেও তাদের অনীহা। সুতরাং জাতীয় পর্যায়ে ইতিবাচক রাজনীতির চিন্তাভাবনা থেকেই তারা এই জোট করতে চাইছেন। যদি হয়, তা হলে ভালো হবে। নির্বাচনি মাঠটা ভালো হবে। ভোটাররা ভালো মানুষ পাবে। মানুষের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে ভালো ভাবনার জাগ্রত হবে।
একইভাবে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, আ স ম আবদুর রবের বাসায় সেদিন তারা কেন সভা করতে চেয়েছিলেন, তা আমরা এখনও জানতে পারিনি। তারা ভদ্রলোক। নিশ্চয় ভালো কিছুই হবে। তবে এতো আগে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা যাচ্ছে না। বিষয়টা নির্ভর করে জনগণ বা ভোটারের উপর। দুই দলের জোটের বাইরে কোনো জোটকে পছন্দ হলে তারা ভোট দেবেন। তবে কোনো অসৎ বা গণতন্ত্র চর্চার ক্ষেত্রে বাধা আসবে এমন কোনো বৈঠক করা যাবে না। সেসব ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। সম্পাদনা : হুমায়ুন কবির খোকন