সাবিহা সুলতানা : নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলায় আত্মসমর্পণ করে পঞ্চম দফার মেয়াদান্তে শেষবারের মতো জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানী। গতকাল সোমবার পঞ্চমবারের জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন আরাফাত সানী। এর প্রেক্ষিতে আগামী ৭ আগস্ট পর্যন্ত সানীর জামিন মঞ্জুর করে উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতার পরামর্শ দেন ওই আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক জাহিদুল কবির।
উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার চার নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এস এম রেজানুর রহমানের আদালতে মামলাটি করেন সানীর স্ত্রী দাবিদার নাসরিন সুলতানা। ওইদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণের পর মামলার অভিযোগ মোহাম্মদপুর থানাকে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দীন মীর মামলাটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করে ঢাকা সিএমএম আদালতে নথি প্রেরণ করেন। এরপর আদালত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় বলা হয়, ৭ বছর আগে পরিচয়ের সূত্র ধরে ঘনিষ্ঠতা হয় আরাফাত সানী ও নাসরিন সুলতানার। ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর অভিভাবকদের না জানিয়ে তারা বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের ৩ বছরেও সানী বাদীকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘরে তুলে নেননি। কিন্তু গত বছর ১২ জুন রাত ১টা ৩৫ মিনিটে ‘নাসরিন সুলতানা’ নামের একটি ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে নাসরিন সুলতানার আসল ফেসবুক মেসেঞ্জারে সানী-নাসরিনের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কিছু ছবি পাঠানো হয়। এর প্রেক্ষিতে গত ৫ জানুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন নাসরিন সুলতানা। এরপর গত ২২ জানুয়ারি সানীকে ঢাকার সাভার থানাধীন আমিনবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ১৫ মার্চ জামিনে মুক্তি পান এই খেলোয়াড়। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ