এনামুল হক : রাজধানীর পল্লবীতে শিশু গৃহকর্মী সাবিনাকে নির্যাতনকারী সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী আয়েশা লতিফ এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। ২ সপ্তাহের বেশি সময় পার হলেও এখনো মামলার মূল আসামি পলাতক। পুলিশ বলছে নির্যাতনকারী আয়েশাকে ধরার চেষ্টা করছেন তারা। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান রিয়াজুল হক গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে দ্রুত আসামিকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। টিভিএনএ’কে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ দাবি জানান মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্লবী থানার এসআই আসিফ ইকবাল জানান, সাবিনা আক্তার নামের ১১ বছর বয়সী মেয়েটির বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায়। গত ৬ মাস ধরে মিরপুর ডিওএইচএসে লেফটেন্যান্ট কর্নেল তসলিম আহসানের বাসায় কাজ করছিল সে। ‘মামলার এজাহারে বলা হয়, সাবিনাকে প্রায়ই মারধর করতেন গৃহকর্ত্রী আয়েশা লতিফ। ২ জুলাই মারধরের একপর্যায়ে তাকে বাসা থেকে বের করে দেয়া হয়।’ এসআই আসিফ বলেন, মেয়েটির শরীরে ‘অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন’ ছিল। মামলা হওয়ার পর তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা সিএমএইচে নেয়া হয়।
তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আসিফ ইকবাল জানান, মামলার আসামি গৃহকর্ত্রী আয়েশা লতিফকে গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হয়েছে। সাবিনার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। শিগগিরই আসামিকে গ্রেফতার করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান রিয়াজুল হক বলেছেন, কাজের মেয়েকে নির্যাতন যেই করুক না কেন এটা একটা ফৌজদারী অপরাধ। এ অপরাধের বিচার ফৌজদারী আইন অনুযায়ী হতে হবে। আমরা চাই এটার তদন্তটা সঠিকভাবে হোক। যারা এই অপরাধের সাথে জড়িত আছে তাদেরকে যেন বিচারের আওতায় আনা হয়। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ