তানভীর আহমেদ : ইইউ হরাইজন ২০২০ প্রকল্পে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো এবং এর বাইরের বিভিন্ন দেশসমূহে বিনামূল্যে বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশিরা গবেষণার সুযোগ পাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদুন। গতকাল মঙ্গলবার মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এমসিসিআই) আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ সকল কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। এদেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য দীর্ঘমেয়াদি গবেষণা প্রয়োজন। হরাইজন প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশকে গবেষণা খাতে সকল ধরনের সহায়তা প্রদান করা হবে বলে জানান তিনি। অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের স্পিকার ডক্টর শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ এখন নিম্ন-মধ্যবিত্ত আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে চলেছে। দেশ তথ্য-প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে গবেষণা এবং শিক্ষাক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার জন্য আমাদের অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন। ইইউ হরাইজন ২০২০ প্রকল্পের আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে অর্থনৈতিক কর্মকা-ে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই প্রকল্পের অবস্থান সহায়ক হবে। জলবায়ু পরিবর্তন, ঝুঁকি মোকাবিলা, বিনিয়োগের ক্ষেত্র প্রসারণের জন্য আমাদের গবেষণা প্রয়োজন। আর এই প্রকল্প বাংলাদেশি গবেষকদের গবেষণায় উৎসাহিত করবে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেন, অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও এ ধরনের যৌথ গবেষণা উদ্যোগ থেকে উপকৃত হবে। আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি। আমাদের জ্বালানি নিরাপত্তা, কৃষি ও বনজ, অভ্যন্তরীণ জল গবেষণা এবং অর্থনৈতিক অঞ্চলে বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রয়োজন। ইইউ হরাইজন ২০২০ প্রকল্প বিভিন্ন খাতে আর্থিক করে গবেষণার কাজে বাংলাদেশকে সাহায্য করতে পারে। গবেষণার মাধ্যমে উন্নয়নমূলক কাজ তরান্বিত হবে। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ