মমতা হিন্দুবিদ্বেষী বিশ্ব হিন্দু পরিষদ
অরিজিৎ দাস চৌধুরি, কলকাতা : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিন্দুবিদ্বেষী। তার মুসলিম তোষণে নিপীড়িত হিন্দুরা। এই অভিযোগেই এবার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দাগল ভারতের হিন্দু সংগঠন ‘বিশ্ব হিন্দু পরিষদ’। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ভিএইচপির নেতা সুরেন্দ্র জৈন জানান, বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হওয়া অত্যাচারের প্রতিকারের চেষ্টা করছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বা ভিএইচপি। আমাদের এই লড়াইয়ে বাধা দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, তিনি হিন্দুবিদ্বেষী। তার ভাবনা শুধু মুসলিমদের জন্য। উল্লেখ্য, চলতি মাসের পহেলা তারিখ বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে প্রতিবাদে নামে ভিএইচপি। বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর চলা অত্যাচারের প্রতিবাদে ওই কর্মসূচি নেয় সংগঠনটি। কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তার পরই নাকি সুষমা স্বরাজকে চিঠি লিখে প্রতিবাদ জানান মমতা। তার বক্তব্য ভিএইচপি‘র কার্যকলাপে ঢাকার সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরতে পারে। এছাড়াও একাধিক বিজেপি ও আরএসএস নেতার নাম কলকাতায় এফআইআর দায়ের করা হয়। তবে সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে ‘মেইল টুডে’কে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন তৃণমূল মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র। তিনি অভিযোগ জানিয়েছিলেন যে, ধর্মের নামে রাজনীতি করছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। শুধুমাত্র ‘ভোটব্যাঙ্ক’ বজায় রাখতে ইসলামী মৌলবাদীদের সমর্থন দিয়ে হিন্দুদের উপর অত্যাচার করছেন তিনি। ইতিমধ্যে রাজ্যে সম্প্রীতি নষ্ট করছে বিজেপি বলে পাল্টা তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বসিরহাট থেকে শুরু করে দার্জিলিংয়ের অশান্তির পেছনে ও গেরুয়া শিবির ও কেন্দ্রকে দায়ী করেছেন তিনি। যাই হোক না কেন এই চাপানউতোরে ধর্মীয় ভাবাবেগের জোয়ারে কিছুটা লাভবান হবে বিজেপি বলেই মনে করছেন অনেকে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই ‘হিন্দুত্ব কার্ড’ খেলছে বিজেপি বলেও মত একাংশের, তেমনই সংখ্যালঘু ভোট ধরে রাখার জন্য মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে সাহস পাচ্ছে না রাজ্য সরকার বলেও অভিযোগ উঠছে। সম্পাদনা : ইয়াছির আরাফাত