জঙ্গি সোহেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে এনআইএ টিম ঢাকায়
ইসমাঈল হুসাইন ইমু : গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার পরিকল্পনাকারী ও নব্য জেএমবির উত্তরাঞ্চলীয় কমান্ডার সোহেল মাহফুজ ওরফে হাতকাটা মাহফুজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকায় এসেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) কর্মকর্তারা। ঢাকা মহানগর পুলিশের জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার অতিরিক্ত উপ-কশিনার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে প্রতিনিধি দলটি কখন ঢাকায় এসে পৌঁছেছে তা জানা যায়নি। প্রতিনিধি দলের সদস্য সংখ্যা কত সে বিষয়েও কিছু জানাতে চাননি ইউসুফ আলী। তিনি বলেন, তদন্তের স্বার্থে এসব তথ্য গোপন রাখা হচ্ছে।
গত ৭ জুলাই দিবাগত রাতে তিন সহযোগীসহ সোহেল মাহফুজকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরকের জোগানদাতা। গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার পরিকল্পনা বৈঠকেও তিনি উপস্থিত ছিলেন। গত রোববার তাকে ঢাকার আদালতে হাজির করে হলি আর্টিজান মামলায় সাতদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
জঙ্গি সোহেল মাহফুজ ভারতে পালিয়ে জেএমবির শীর্ষ নেতা হিসেবে তৎপর ছিল। এরই মধ্যে দেশটির জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) প্রতিনিধিরাও জঙ্গি সোহেল মাহফুজের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করেছে। পশ্চিমবঙ্গের খাগড়াগড় বিস্ফোরণে মামলার আসামি এই সোহেল মাহফুজ।
এর আগে গত শনিবার সোহেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ঢাকায় আসে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্সের (এসটিএফ) একটি দল। এসটিএফের প্রতিনিধিরা প্রথমে পুলিশ সদর দফতরে বৈঠক করেন। এরপর এসটিএফের প্রতিনিধিরা মিন্টো রোডে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্র্যান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, সোহেল মাহফুজ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তের রফিক নামের এক ‘লাইনম্যানের’ মাধ্যমে ভারতে আসা-যাওয়া করতেন। ভারতে পাঁচ বছর জেএমবির আমির থাকা অবস্থায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক উৎসগুলোর সঙ্গে পরিচিত হন সোহেল। সেই সব উৎস থেকে সীমান্তের লাইনম্যানদের মাধ্যমে অস্ত্র ও বিস্ফোরক দেশে আনতে সোহেল মাহফুজ মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। তবে অস্ত্র ও গোলাবারুদের নেটওয়ার্ক সম্পর্কে তিনি এখনো মুখ খোলেননি। সম্পাদনা : আজাদ হোসেন সুমন