বিএনপির প্রতিক্রিয়া খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন এবং আন্দোলনের নেতৃত্বও দেবেন
শাহানুজ্জামান টিটু : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত শনিবার লন্ডনে যাওয়ার পর ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নেতা ও মন্ত্রীরা তার দেশে ফিরে আসা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আর বিএনপি নেত্রী দেশে ফেরার বিষয়টি মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সন্দেহ পোষণ করে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের আলোচনার কঠোর সমালোচনা করেছেন বিএনপির নেতৃবৃন্দ। এসব নেতারা বলেন, খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন শুধু এটা না, আগামী নির্বাচন সহায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠানের দাবিতে আন্দোলনের নেতৃত্বও দেবেন। ফলে ক্ষমতাসীন দলের প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রীরা কে কী বলল তাতে বিএনপির কিছু যায় আসে না। তারা এভাবেই জাতিকে বিভ্রান্ত করতে চায়। কিন্তু দেশের মানুষ ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের কথা বিশ্বাস করে না। বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেন, যে নেত্রী শত নির্যাতনের মধ্যে লড়াই করছেন, তিনি ফিরে আসবেন না এটা পাগলেও বিশ্বাস করবে না।
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এমন কথা বলা তার উচিত হয়নি। ২০১৫ সালে যখন খালেদা জিয়া বিদেশ গিয়েছিলেন, তখনও আওয়ামী লীগের নেতারা বলেছিলেন, তিনি আসবেন না। কিন্তু তিনি ফিরেছিলেন। এবারও বিএনপির চেয়ারপারসন দেশে ফিরবেন। এগুলো হীনমন্যতা। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এমন বক্তব্য দেওয়া ঠিক হয়নি। খালেদা জিয়া ফিরে আসবেন, তখন প্রধানমন্ত্রীর মুখ থাকবে? শেখ হাসিনা দেশের প্রধানমন্ত্রী, তার কথার ডিগনিটি থাকা উচিত।
দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, যে নেত্রী শত নির্যাতনের মধ্যে লড়াই করছেন, তিনি ফিরে আসবেন না, এটা পাগলেও বিশ্বাস করবে না। তিনি অবশ্যই তার চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরবেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নেতৃত্বও দেবেন।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, যাদের স্বরূপ মিথ্যা দর্শনের ওপর প্রতিষ্ঠিত, তারা তো অহরহ মিথ্যা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবেনই। তবে তাদের সেই চেষ্টা সফল হবে না। গণমানুষের নেত্রী খালেদা জিয়া। আপসহীনভাবে গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনে তিনি এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন। এখন তো ফ্যাসিবাদী শাসন চলছে। ফলে এই সময়ে তিনি দেশ ও জনগণকে ফেলে সেখানে থাকবেন, এটা বিশ্বাস করা যায় না। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ