সাইদুর রহমান
আমরা অনেকেই নামাজ পড়ি না। অবহেলায় অথবা কাজের বাহানা দিয়ে নামাজ আদায় করি না। নবী স: নামাজ বর্জনকারীকে কুফরের সাথে তুলনা করেছেন। অর্থ্যাৎ যার নামাজ নেই তার সাথে কুফরের সম্পর্ক রয়েছে।
অন্য কোন গুনাহের ব্যাপারে আল্লাহর রাসূল এত বড় ধমক দেননি। কত বড় গুনাহ। কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম নামাজের হিসাব নেওয়া হবে। নামাজের হিসাব যার মিটে যাবে তার কোন চিন্তা নেই। নাজাতের জন্য নামাযই যথেষ্ট । নামাজ বর্জন করার বিষয়ে হাদীসে যেসব হুমকি এসেছে তা নি¤œরুপ : নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “কোনো লোক এবং শিরক ও কুফরের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে নামাজ পরিত্যাগ করা।” (মুসলিম)
বুরাইদা ইবন হোসাইব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: “আমাদের ও তাদের মাঝে অঙ্গীকার বা চুক্তি হল সালাতের, সুতরাং যে ব্যক্তি তা বর্জন করল, সে কুফরী করল” (আহমদ, তিরমিযী, নাসায়ী ও ইবন মাজাহ) নবী করীম (সা) আরও এরশাদ করেন : “আমাদের ও তাদের মধ্যে যে প্রতিশ্রুতি, তা হলো সালাত। অতএব যে সালাত ছেড়ে দিবে সে কুফরী করল।”(ইমাম আহমদ ও আহলে সুনান)
অপর এক হাদীসে রাসূল সা. বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের উপর পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয করেছেন। যে ব্যক্তি উত্তমরুপে রুকু করবে, উত্তমরুপে সেজদা করবে উত্তমরুপে কিয়াম করবে আল্লাহ যিম্মাহ নেন তাকে ক্ষমা করে দিবেন। আর যে ব্যক্তি উত্তমরুপে করবে না তার সাথে আল্লাহর কোন যিম্মাহ নেই, ইচ্ছা করলে তিনি মাফ করে দিতে পারেন, ইচ্ছা করলে তাকে শাস্তি দিতে পারেন।
আমরা জানি কিন্তু আদায় করি না। অনেক সময় অনিচ্ছা সত্ত্বেও নামায কাযা হয়ে যায়, কিন্তু পরে আর তা আদায় করা হয় না। কাজের অযুহাতে নামায কাযা করা দূরের কথা, বাদ দেওয়া তো বলাইবাহুল্য। আমাদের নবীজি সা. জীবনের শেষ মুহূর্তে সাহাবীদের কাঁধে কষ্ট করে জামাতে শরীক হয়েছেন, তারপরও নামায বাদ দেননি।