আনোয়ারুল করিম : পঞ্চম শ্রেণির শিশুর আঁকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি দিয়ে কার্ড প্রকাশের পর তা নিয়ে মানহানির মামলায় ইউএনওকে কারাগারে গিয়ে পরে জামিন নিতে হয়েছে। এ নিয়ে দুইদিন ধরে ফেসবুকে চলছে সমালোচনার ঝড়। বঙ্গবন্ধুর আলোচিত সেই ছবিটি এঁকেছে অদ্রিজ কর অদ্রি। অদ্রির বাড়ি বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার ফুল্লশ্রী গ্রামে। সে আগৈলঝাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। তার বাবা পরিমল কর ব্যবসায়ী। মা পদ্মাবতী হালদার স্কুল শিক্ষিকা।
শিল্পী অদ্রিজ কর অদ্রি শুক্রবার গণমাধ্যমকে বলেছে, ‘বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা। তাকে আমরা সবাই শ্রদ্ধা করি, ভালোবাসি। আমি আমার মতো করে জাতির পিতার ছবি এঁকেছি।’ সে বলে, ‘যেখানে যে রঙ দিলে ভালো হয়, সেই রঙ দিয়েই আঁকার চেষ্টা করেছি।’ অদ্রির বাবা পরিমল কর বলেন, ‘ছোট বাচ্চা, প্রতিযোগিতায় সে তার মন দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবি এঁকেছে। এতে তার প্রশংসা করা উচিত ছিল। কিন্তু হয়েছে তার উল্টো। শিল্পী যেমন মনের ইচ্ছে মতো ছবি আঁকে, অদ্রিও তাই এঁকেছে- বলেন পরিমল কর।
গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ১৭ মার্চ বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা প্রশাসন শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ নামে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কৃতদের হাতে আঁকা ছবি ব্যবহার করে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র ছাপানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী পুরস্কৃতদের হাতে আঁকা ছবি ব্যবহার করে ওই আমন্ত্রণপত্র ছাপানো হয়।
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় ছবিটি এঁকে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে অদ্রিজ কর অদ্রি। এরপর স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের ওই আমন্ত্রণপত্রে বঙ্গবন্ধুর ‘বিকৃত’ ছবি ছাপানোর অভিযোগ এনে আগৈলঝাড়ার সাবেক ইউএনও তারিক সালমনের বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ ওবায়দুল্লাহ সাজু। সম্পাদনা: জাফর আহমদ