আনোয়ারুল করিম : পঞ্চম শ্রেণির শিশু শিক্ষার্থীর আঁকা বঙ্গবন্ধুর ছবি দিয়ে কার্ড ছাপিয়ে ‘বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির মামলার শিকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজী তারেক সালমান বলেছেন, ‘আমি জানি, প্রধানমন্ত্রী সুবিবেচক। তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা। তিনি বুঝবেন বঙ্গবন্ধুর প্রতি আমার ভালোবাসা আর শ্রদ্ধার কথা। আমাকে তার কাছে আবেদন করতে হবে না। আমার বিশ্বাস, তিনি নিজেই ষড়ন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।’ গতকাল শুক্রবার গণমাধ্যমের কাছে তিনি আরও বলেন, ‘আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। বরিশালের আগৈলঝাড়ার ইউএনও থাকাকালে যারা আমাকে দিয়ে অন্যায় কাজ করাতে পারেননি, সেই প্রভাবশালীরাই আমার বিরুদ্ধে মামলা করিয়েছেন।’
গাজী তারেক সালমান বলেন, ‘আমি আগৈলঝাড়ায় ছিলাম ৮ মাস। তখন ওই প্রভাবশালী মহলের অনেক অপকর্মের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। আমি কোনও ঠিকাদার বা জনপ্রতিনিধির অন্যায়কে মেনে নেইনি। এমনও হয়েছে, কাজ ঠিকমতো না হওয়ায় আমি দুই কিস্তির টাকা দিয়ে বাকি টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। তারাই আমাকে আগৈলঝাড়ায় থাকতে দেননি। এরপর বরগুনা সদরে বদলি হয়ে গেলে ঘটনার ৩ মাস পর তারা আমার বিরুদ্ধে মামলা করেন।’ তিনি বলেন, ‘আমরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মামলার শিকার হই। ষড়যন্ত্রের শিকার হই। এটা অনেক কষ্টের।’ তার বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্রমূলক মামলার বিষয়টি প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেছেন। প্রকৃত বিষয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেছেন।
গাজী তারেক সালমান জানান, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি আমার ভালোবাসা আর অকৃত্রিম শ্রদ্ধা আছে। সেই শ্রদ্ধা থেকেই আমি কাজ করেছি। আমি ভাবতেও পারিনি একটি শিশুর আঁকা ছবি নিয়ে মামলা হতে পারে! অশ্রদ্ধা বা বিকৃতির প্রশ্ন উঠতে পারে। আমার বিশ্বাস, বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধানমন্ত্রী আমাকে ঠিকই বুঝতে পারবেন।’
বরগুনার এই ইউএনও আরও বলেন, ‘আমি চাই, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র যারা করেছেন, তাদের বিচার হোক। আমাকে যারা কলঙ্কিত করার ষড়যন্ত্র করেছেন, তাদের বিচার হোক। আমি বিশ্বাস করি, আমার আবেদন করতে হবে না। প্রধানমন্ত্রী সুবিবেচক। তিনি নিজ উদ্যোগেই ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।’ দেশের মানুষ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে তারেক সালমান বলেন, ‘আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ যে, তারা আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন।’ সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ