দ্রুত ঢাকার জলাবদ্ধতা ও যানজট নিরসনে উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
উম্মুল ওয়ারা সুইটি : রাজধানীর জলাবদ্ধতা ও যানজট নিরসনে ঢাকার এমপি, দুই মেয়রসহ সংশ্লিষ্ট সবগুলো প্রতিষ্ঠানকে বসে বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই এই সমস্যার সমাধান করুন।
ঢাকা সিটির দুই মেয়র আনিসুল হক ও সাঈদ খোকন জলাবদ্ধতা নিরসনে ওয়াসার অসহযোগিতা এবং খাল খননে প্রভাবশালীদের অসহযোগিতার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে জানান। দুই মেয়র এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে দায়িত্ব দেন বলে প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে।
সূত্র মতে, দুই মেয়র দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই গত দুই বছরে ফুটপাত দখলমুক্ত করাসহ বেশকিছু উদ্যোগে সফল হলেও রাজধানীবাসীর সবচেয়ে বড় সংকট বর্ষায় জলাবদ্ধতা ও যানজট কমাতে একেবারেই ব্যর্থ হয়েছেন। জলাবদ্ধতা নিরসনে দুই মেয়র ঢাকার খাল পুনঃউদ্ধারের উদ্যোগ নিলেও স্থানীয় প্রভাবশালীদের জন্য বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, আগামী বছর বর্ষার পরপরই জাতীয় নির্বাচন। তাই জলাবদ্ধতা ও যানজটের সমাধান করতে না পারলে এমপিদের নগরবাসীর মুখাপেক্ষী হতে হবে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রাস্তার কাজ, ফ্লাইওভারের কাজ এবং পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে সবাইকে দ্রুত বৈঠকের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, আমি আগামী বছর এই চিত্র দেখতে চাই না। কে কোন স্বার্থে সহযোগিতা করছে না এটা স্পষ্ট করতে হবে। তিনি ঢাকার এমপিদের নিজ নিজ এলাকার সমস্যা চিহ্নিত করতেও বলেন।
মেয়র আনিসুল হক বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসন করা শুধু মেয়রদের পক্ষে সমাধান সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ঢাকা থেকে পানি নামার কোনো পথ নেই। অনেক বছর ধরে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা বন্ধ হতে হতে একেবারে সবগুলো খাল-বিল নালা বন্ধ হয়ে গেছে। খালগুলো পুনঃখনন করা যাচ্ছে না। তবে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি। আশা করছি এ বছরই বিষয়টির সমাধান করা যাবে। সাঈদ খোকন বলেন, এটা শুধু মেয়রের এখতিয়ারের মধ্যে হলে অবশ্যই উদ্যোগ নিতে পারতাম। কিন্তু এখানে অনেক প্রতিষ্ঠান এবং অনেক ইন্টারেস্ট গ্রুপ রয়েছে। তাই সবার সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। খোকন বলেন, আমরা সবাই জানি কেন এবং কি কারণে জলাবদ্ধতা নিরসন করা যাচ্ছে না। অথচ বৃষ্টি হলেই মেয়রদের বিরুদ্ধে অভিযোগ। তারপরও আমরা আশা করছি, আগামী বছর জলাবদ্ধতা থাকবে না। সম্পাদনা : হুমায়ুন কবির খোকন