খেলাপি ঋণ থেকে মুক্তি পেতে সংস্কার চাই
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ
খেলাপি ঋণ বাড়ার কারণ হলোÑ যেভাবে বা যে প্রক্রিয়ায় ঋণ দেওয়ার কথা ছিল, সে প্রক্রিয়ায় দেওয়া হয়নি। বরং বিভিন্ন শক্তিশালী মহলের চাপে এসব বেশিরভাগ ঋণ দেওয়া হয়েছে। এই কাজটি করা হয়েছে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক চাপ থেকে। এর ফলে ঋণগুলো আদায় হয়নি। এবং আমার ধারণা, এগুলো অনিচ্ছায় অনাদায়ে থেকে যাবে। তা আদায় করা সম্ভব হবে না। এর থেকে মুক্তি পেতে হলে যেগুলো গেছে সেগুলো নিয়ে চিন্তা না করে, এখনই এ বিষয়ে বড় রকমের সংস্কারে হাত দিতে হবে। কারণ খেলাপি ঋণ দিতে দিতে অগ্রণী, সোনালী, জনতা এবং অন্যান্য ব্যাংকের ভেতরে দুর্নীতি ঢুকে গেছে। যখন ওপরের চাপে কেউ কাজ করে, তখন তার কাছে মনে হয় সেও ঋণ এভাবে নিচ্ছে। সুতরাং আমিও নিতে পারি। এই করে করে দুর্নীতিটা ঢুকে যায়। অর্থাৎ ভালো মানুষকে দুর্নীতিপরায়ণ করতে বেশি সময় লাগে না। কিন্তু দুর্নীতিবাজকে আবার ভালো করাটা খুবই কঠিন। সেজন্য শক্ত হাতে যদি একটা সংস্কার কর্মসূচি নেওয়া হয়, তাহলেই কেবল এ পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব।
পরিচিতি: অর্থনীতিবিদ
মতামত গ্রহণ: বায়েজিদ হোসাইন
সম্পাদনা: মোহম্মদ আবদল অদুদ