া বিনয় ভূষণ জয়ধর
তুলসী সুগন্ধি বীরুৎ জাতীয় উদ্ভিদ । হাজার হাজার বছর ধরে সাধারণত কৃষ্ণ ও রাধা তুলসী এই দুই প্রকারে প্রাপ্ত তুলসী হিন্দু গৃহে পবিত্রতার প্রতীক হিসেবে পূজিত হয়ে আসছে, যেহেতু এর পিছনে রয়েছে ধর্মীয়, পরিবেশগত ও বৈজ্ঞানিক কারণ।
ধর্মীয় কারণ : হিন্দুধর্মে বিশ্বাসীরা গুণের উপাসক, তারা মনে করে নিজেকে ঈশ্বর উপাসনায় উপযোগী করে গড়ে তুলতে হলে অনেক দেবগুণ অর্জন করতে হবে, আর তুলসী একটি গুণবান বৃক্ষ। আর হিন্দুরা প্রতীকেও বিশ্বাসী। গুণের প্রতীক হিসেবে হিন্দুরা তুলসী পূজা করে থাকেন।
পরিবেশগত কারণ : পরীক্ষায় দেখা গেছে যে তুলসীগাছ একমাত্র উদ্ভিদ যা দিন রাত চব্বিশ ঘণ্টা অক্সিজেন সরবরাহ করে বায়ু বিশুদ্ধ রাখে, তাই রাতের বেলাতে তুলসীতলায় শয়ন করাও ব্যক্তির জন্য উপকারী। এছাড়া তুলসী গাছ ভূমি ক্ষয় রোধক এবং তুলসী গাছ মশা কীটপতঙ্গ ও সাপকে দূরে রাখে।
বৈজ্ঞানিক ও স্বাস্থ্যগত কারণ:
*তুলসী ব্যথানাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
*তুলসীপাতা খেলে তা টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগে দ্রুত গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে দেয়।
*তেজষ্ক্রিয়তার ফেলে ক্ষতিগ্রস্ত কোষসমূহকে মেরামত করে।
*চর্বিজনিত হৃদরোগে এন্টি অক্সিডেন্টের ভূমিকা পালন করে।
*তুলসী ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
*তুলসীর অ্যালকোহলিক নির্যাস ওসসঁহব ংুংঃবস এর রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে।
*তুলসী স্নায়ুটনিক ও স্মৃতিবর্ধক।
*শ্বসনতন্ত্রের বিভিন্নরোগ যেমন ব্রঙ্কাইটিস, ইনফ্লুয়েঞ্জা, হাঁপানি প্রভৃতি রোগের নিরাময়ক।
*সর্দি, কাশি, জ্বর, বমি, ডায়ারিয়া, কলেরা, কিডনির পাথর, মুখের আলসারসহ চোখের বিভিন্ন রোগে ইহা ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
*দাঁতের রোগে উপশমকারী বলে টুথপেস্ট তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।