যীশু খ্রিস্ট একজন ভাল রাখাল
খ্রিস্টীয় দর্পণ ডেষ্ক
যীশু যখন বিভিন্ন জায়গায় যেতো তখন সেই সমস্ত জায়গার লোকেরা যীশুর কথা মন দিয়ে শুনত। গল্প শোনার আশায় শিশুরা চুপ করে অপেক্ষা করত বলে অনেক সময় কঠিন কঠিন বিষয়গুলো যীশু প্রায়ই গল্প বলে শিক্ষা দিতেন। তিনি চাইতেন যেন লোকেরা সেই সব বিষয় নিয়ে চিন্তা করে। যদি তারা সত্যিই তাঁকে অনুসরণ করতে চায় তবে সেই সব গল্পের অর্থ কি তা খুঁজে বের করবে। তিনি প্রায়ই বলতেন, ‘যার কান আছে সে শুনুক’। এর মধ্য দিয়ে তিনি বুঝাতেন, ‘গভীরভাবে চিন্তা কর, বুঝতে চেষ্টা কর’। প্রতিদিনের জীবনের সঙ্গে মিল আছে এমন বিষয় নিয়ে যীশু গল্প বলতেন। ইস্রায়েলের বাদামী রংয়ের পাহাড়ে একজন রাখাল তার ভেড়ার চরাচ্ছিল। যীশু বললেন, ‘যদি একশো ভেড়া থাকে এবং একটি ভেড়া পাহাড়ী পথে হারিয়ে যায় তখন রাখাল কি করে? সে নিরাপদে থাকা নিরানব্বইটি ভেড়া রেখে সেই হারিয়ে যাওয়া ভেড়াটি খুঁজতে বের হয়’। ‘সে ভেড়াটির কান্না শুনতে চেষ্টা করে।’ ‘সে সেসব জায়গা খুঁজে দেখে যেখানে তার ভেড়াটি হারিয়ে যেতে পারে, কোন গর্তে আটতে থাকতে পারে বা আঘাত পেতে পারে। সে কত ক্লান্ত বা কত সময় লাগছে এটা তার কাছ কোন ব্যাপার না। সে যতক্ষন সেটিকে খুঁজে না পায় ততক্ষণ খুঁজতে থাকে’। ‘যখন সে ভেড়াটিকে খুঁজে পায় তখন সে খুবই খুশি হয়। সে সেটিকে কাঁধে করে বাড়ী ফিরে আসে।
তারপর সে তার বন্ধুদের ডেকে বলে, ‘আমার সঙ্গে আনন্দ কর, কারণ আমার যে ভেড়াটি হারিয়ে গিয়েছিল সেটি ফিরে পেয়েছি’। যীশু বললেন, ‘লোকেরা যখন ঈশ্বরের কাছে ফিরে আসে তখন স্বর্গে অনেক আনন্দ হয়। যারা ঈশ্বরের কাছ থেকে হারিয়ে গেছে তাদের খোঁজ করে ঈশ্বরের কাছে ফিরিয়ে আনতেই আমি এসেছি’।
যীশু বললেন, ‘আমিই ভাল রাখাল। ভাল রাখাল কখনও তার পালকে ছেড়ে চলে যায় না। সে তাদের সবুজ ঘাস খাওয়ায় ও জলের কাছে নিয় যায়। যখন ভল্লুক বা বন্য পশু পাল আক্রমণ করে তখন সে তাদের রেখে পালিয়ে যায় না। তাই ভেড়ার পাল তার পিছনে পিছনে যায় কারণ তারা তার গলার স্বর চেনে।’ ‘আমিই ভাল রাখাল। যারা আমার ডাক শোনে তারা আমার পাল। তারা আমাকে চেনে ও আমার উপর নির্ভর করে। আমি তাদের পরিচালনা দেই ও তাদের রক্ষা করি। আর আমি তাদের জন্য মরতেও প্রস্তুত আছি’। যীশু আমাদের সকল সময় নানা উপমা দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করতেন।