যাকোব ঠকলেন, কুস্তি লড়লেন স্বর্গদূতের সাথে
খ্রিস্টীয় দর্পণ ডেষ্ক
যাকোব যখন হারণে ছিলেন তখন লাবনের কন্যা রাহেলকে বিয়ে করার কথা চিন্তা করেছিলেন। যাকোব লাবনকে বলেছিলেন, ‘আপনি যদি রাহেলকে আমার সাথে বিয়ে দেন তবে আমি আপনার কাছে সাত বছর গোলামি করব’। লাবন রাজি হয়েছিলেন। বিয়ের দিন কন্যাকে যাকোবের কাছে আনা হল। সেই দেশের রীতি অনুযায়ী তাকে বোরকা পরিয়ে আনা হয়েছিল যেন তার মুখ দেখা না যায়। কিন্তু পরে যখন যাকোব কন্যার ঘোমটা তুললেন তখন দেখলেন যে সে রাহেল নয়, যাকে তিনি ভালবেসেছিলেন। সেই কন্যা ছিল তার বড় বোন লেয়া যাকে তিনি মোটেই ভালবাসেন নি।
যদিও যাকোব একই ভাবে তার বাবাকে ঠকিয়েছিলেন তবুও তিনি নিজে ঠকে খুব হতাশ হয়েছিলেন। কিন্তু লাবন বললেন, ‘আমাদের দেশে বড় বোনের আগে ছোট বোনের বিয়ে দেয়া যায় না। তুমি যদি আরও সাত বছর আমার গোলামি করো তবে আমি রাহেলকে তোমার হাতে তুলে দেব’। যাকোব এতে রাজি হলেন এবং রাহেলও তার স্ত্রী হল।
বিশ বছর মামা লাবনের গোলামি করার পর যাকোব তার পরিবারের সবাইকে একত্র করলেন ও ধন-সম্পদ নিয়ে হারণ ছেড়ে চলে গেলেন। তার দেশের বাড়িতে ফেরার পথে তিনি এক দুঃসংবাদ শুনে ভয় পেলেন। তিনি শুনেছিলেন যে, তার ভাই এষৌ ৪০০ লোক নিয়ে তার দিকে এগিয়ে আসছেন। যাকোব স্মরণ করলেন, এষৌ একবার তাকে হত্যা করার হুমকি দিয়েছিলেন। সেই রাতে যাকোব তার পরিবারকে যব্বোক নদীর ওপারে পাঠিয়ে ছিলেন আর তিনি প্রার্থনা করার জন্য পিছনে রইলেন। যাকোব যখন একা ছিলেন তখন তিনি অনুভব করছিলেন, এক লোক তাকে ধরতে আসছে। তিনি রাত শেষ হওয়া পর্যন্ত এই লোকের সাথে কুস্তি লড়লেন। এই লোকটি ছিল ঈশ্বরের এক স্বর্গদূত। তিনি যাকোবকে আশীর্বাদ করলেন এবং তার নাম পরিবর্তন করে ইস্রায়েল রাখলেন। এরপর ইস্রায়েল যখন এষৌর সাথে দেখা করলেন তখন তাদের মধ্যে শক্তি স্থাপিত হল।