বুড়িগঙ্গায় গ্রেনেড ছোড়ার প্রশিক্ষণ নেন হলি আর্টিজানের জঙ্গিরা
বিপ্লব বিশ্বাস : গুলশানের হলি আর্টিজানের হামলায় অংশ নেওয়া জঙ্গিদের বুড়িগঙ্গায় গ্রেনেড ছোড়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন বগুড়া থেকে গ্রেফতার জঙ্গি রাশেদ ওরফে র্যাশ ওরফে আবু জাররা। গতকাল শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান গুলশান হামলার তদন্তকারী সংস্থা কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গতবছর রমজান মাস শুরুর কয়েকদিন আগে গুলশান হামলার জঙ্গিদের বুড়িগঙ্গা নদীতে নিয়ে গ্রেনেড ছোড়ার প্রশিক্ষণ দেন রাশেদ। নব্য জেএমবিতে রাশেদের কোনো পদ না থাকলেও তিনি তামিম চৌধুরীর আস্থাভাজন ছিলেন। তবে ভবিষ্যতে তাকে পদ দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল নব্য জেএমবির।
মনিরুল ইসলাম বলেন, নব্য জেএমবির নেতা ছোট মিজান ও রাশেদকে ঢাকা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে গিয়ে অস্ত্র আনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তারা আমের ঝুড়িতে করে ৪টা নাইন এমএম পিস্তল, গুলি, ম্যাগাজিন কল্যাণপুরে নিয়ে আসে। কল্যাণপুর থেকে বাসারুজ্জামান এগুলো বসুন্ধরায় পৌঁছে দেয়। এর আগে গত শুক্রবার ভোরে হলি আর্টিজানে হামলার অন্যতম ‘পরিকল্পনাকারী’ নব্য জেএমবির রাশেদকে গ্রেফতার করে বগুড়া জেলা পুলিশসহ পুলিশের ৫টি বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম। গ্রেফতারের পর তাকে সিটিটিসি ইউনিটের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সিটিটিসির তদন্ত কর্মকর্তারা তাকে ঢাকায় এনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। গতকাল বিকালে তাকে আদালতে তুলে ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় দেশের সবচেয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। পরদিন সকালে প্যারাকমান্ডো অভিযান চালানো হয়। ‘অপারেশন থান্ডার বোল্ট’ নামে ওই অপারেশনে নিহত হয় ৫ জঙ্গি। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ