আজ ইসলামাবাদে সমাবেশ ইমরানের
ডেস্ক রিপোর্ট : পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে সুপ্রিম কোর্ট দেশটির প্রধানমন্ত্রী থাকার অযোগ্য ঘোষণার অব্যবহিত পরই তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রধান ইমরান খান এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, রোববার ইসলামাবাদের প্যারেড গ্রাউন্ডে একটি বিশাল সমাবেশের আয়োজন করা হচ্ছে। আজকাল
পানামা মামলায় সবচেয়ে বিখ্যাত আবেদনকারী, তেহরিক-এ-ইনসাফ পার্টির নেতা ইমরান খানের এই ছিল প্রথম প্রতিক্রিয়া। রায়ের পরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তিনি। নওয়াজের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে প্রথম থেকই সরব ছিলেন ইমরান। নওয়াজকে গডফাদার বলে কটাক্ষ করে ইমরানের টুইট, ‘দেশের ভালোর জন্যই গডফাদারের শাসনের অবসান হচ্ছে। সত্য এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হল।’ পরের টুইটে ইমরান লিখেছেন, ‘গডফাদারের সঙ্গী ইশাক দারকেও তো পদ ছাড়তে হবে!’ পানামা দুর্নীতির তদন্তের আবেদন জানিয়ে যে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছিল, তার একটি করেছিলেন ইমরান। শুক্রবারের শুনানিতেও তার হাজির থাকার কথা ছিল। তবে নিরাপত্তার কারণে তিনি আদালতে হাজির থাকতে পারেননি বলে পিটিআই-এর মুখপাত্র নাইমুল হক জানিয়েছেন।
৬৪ বছর বয়সী ইমরান খান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই রায়ে পাকিস্তানের বিচার ব্যবস্থার ধন্যবাদ প্রাপ্য। ‘ইয়ুম-এ-তাশাক-র’ অর্থাৎ ধন্যবাদ দেওয়ার ওই সমাবেশে সমর্থকদের বিপুল সংখ্যায় থাকার আহ্বান জানান তিনি। ইমরান বলেন, জয়েন্ট ইনভেস্টিগেশন টিম গত ৬০ দিনে তদন্তে যে চমকপ্রদ ফল দেখিয়েছে, এমনকী তা এত অল্প সময়ে কোনো পশ্চিমা দেশের পক্ষেও করা সাধ্যাতীত। ইমরানের কথায়, ভূমিকম্প, দুর্ভিক্ষ বা যুদ্ধের ফলে কোনো দেশের পতন হয় না। দেশের পতন হয় বিচার ব্যবস্থা ভেঙে পড়লে। সেক্ষেত্রে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে পাকিস্তানের জনগণের কাছে অন্য আশার সঞ্চার করল। ইমরান মনে করিয়ে দেন, তার দেশের গরিবদের জন্যই তিনি লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। কারণ দেশের ধনীরা অপরাধ করেও পার পেয়ে যান। সেই দিক থেকেই সুপ্রিম কোর্টের এই রায় যুগান্তকারী। ইমরান বলেন, নওয়াজ শরিফের পরিবারকে তিনি গত চার দশক ধরে চেনেন। তাদের সঙ্গে তার কোনো ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। কিন্তু এই রায়ের পরে এখন থেকে দেশের সবাই অপরাধ করলে আর পার পাবেন না। যারা জাতীয় ঐশ্বর্য লুট করে গিয়েছেন এতকাল ধরে, আজকের রায়ের পরে তাদের দায়বদ্ধতার দিকটি খুলে গেল। তহবিল তছরুপের মাধ্যমে হাজার কোটি ডলার দেশের বাইরে পাচার করা হয়েছিল। অথচ নওয়াজ শরিফের প্রাক্তন মন্ত্রীরা টার্গেট করলেন লাহোরের শওকত খানুম ক্যান্সার হাসপাতালকে, যে হাসপাতালে ৭৫ শতাংশ দরিদ্র ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসা হয়! সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ