শাহানুজ্জামান টিটু : খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনে কোনো আইএসআই বা জামাত নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়নি এমনকি এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন দাবি করলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, কিছু গণমাধ্যমের খবর প্রকাশে মনে হচ্ছে তারা গণতন্ত্রের পক্ষের নয়। গণতন্ত্রের শত্রুদের সহযোগিতা করছে। এ ধরনের অপপ্রচার চালিয়ে জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর জন্য আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী এবং তাদের এজেন্সিদের আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, দেশের মূল সমস্যা নির্বাচন থেকে জনগণের দৃষ্টি সরাতে আওয়ামী লীগ ও তাদের এজেন্সিগুলো খালেদা জিয়ার নামে ভিত্তিহীন মিথ্যাচার করে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
চিকিৎসা এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া লন্ডনে যাওয়ার পর থেকেই আওয়ামী লীগ নেতা এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের ক্ষমতায় আসার জন্য কোনো গোষ্ঠী বা দেশের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করার প্রয়োজন হয় না। জনগণই বিএনপির শক্তি।
নির্বাচন কমিশনের ডাকা সংলাপে বিএনপি অংশ নিবে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াগুলোকে কাজে লাগাতে চাই। নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট হলেও আমরা সংলাপে অংশ নিব।
সহায়ক সরকারের উল্লেখ সংবিধানে নেই- আওয়ামী লীগ নেতার এমন বক্তব্যের প্রতি উত্তরে তিনি বলেন, সংবিধান বাইবেল নয় যে তাকে পরিবর্তন করা যাবে না। জনগণের চাহিদা অনুযায়ী তাকে পরিবর্তন করা যায়। এর আগেও পরিবর্তন করা হয়েছে।
গতকাল বগুড়ায় শ্রমিক লীগের নেতা কর্তৃক মা-মেয়েকে ধর্ষণের পর মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সারা দেশের আওয়ামী দুঃশাসনের বহিঃপ্রকাশ এটি। আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা দেশের সব রকম অপকর্ম করছে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সঞ্জিব কুমার চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।