নভেম্বরে ঢাকা সফরে আসছেন পোপ ফ্রান্সিস
উম্মুল ওয়ারা সুইটি : রোমান ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস এবছরের নভেম্বরের শেষ দিকে ঢাকা সফরে আসছেন। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের সংখ্যা খুবই কম হলেও তাদের প্রতি পোপ ফ্রান্সিসের গভীর মনোযোগ রয়েছে। সে কারণে ভারত সফর বাতিল সত্ত্বেও পোপ দেশ দুটিতে সফরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের মুখপত্র ক্রাঙ-এর ওয়েব ভার্সন ক্রাঙœাউডটকম পোপের বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সফরসূচির ব্যাপারে নিশ্চিত করেছে। ২০১৬ সালের অক্টোবরে মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছিল, পোপ ফ্রান্সিসের ২০১৭ সালের সফরসূচিতে বাংলাদেশ ও ভারত সফরের পরিকল্পনা রাখা হয়েছে। ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মেইল চলতি মাসে পোপের সম্ভাব্য ভারত ও বাংলাদেশ সফর বাতিলের খবর দেয়। তবে ক্রাঙনা উডটকম শুক্রবার জানিয়েছে, ভারত সফরে না গেলেও পোপ বাংলাদেশ সফরে আসছেন। বাংলাদেশের পাশাপাশি তিনি মিয়ানমারও সফর করবেন।
চার্চের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়েছিল, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময়সূচি নিয়ে মতৈক্যে না পৌঁছতে পারায় সফরটি বাতিল করা হয়েছে। তবে সম্প্রতি আর্জেন্টিনার বার্তা সংস্থা তেলাম পোপের সফরসূচিতে পরিবর্তন হওয়ার খবর প্রকাশ করে। রোমান ক্যাথলিকদের শীর্ষ মুখপত্র ক্রাঙ এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে পোপের বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সফর সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে কার্ডিনাল নির্বাচিত হওয়া প্যাট্রিক ডি রোজারিও ক্রাঙকে বলেছেন, চলতি বছরের মে মাস থেকে পোপের বাংলাদেশ সফরের প্রস্তুতি চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহে ভ্যাটিকানের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করবে। ওই প্রতিনিধি দল পোপের সফরের দিনক্ষণ ঠিক করবে। এর আগে বাংলাদেশে ভ্যাটিক্যানের রাষ্ট্রদূত আর্চ বিশপ জর্জ কোচেরিও পোপের বাংলাদেশ সফরের বিষয়টি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছিলেন। জন পল (টু) প্রথম পোপ হিসেবে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। ফ্রান্সিসের সফরের খবর সত্যি হলে তিনি হবেন ৩১ বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশ সফরকারী দ্বিতীয় পোপ।