সাতক্ষীরা শিশু পরিবারের ৪ কর্মচারীকে গণপিটুনি
শেখ ফরিদ আহমেদ ময়না, সাতক্ষীরা : যৌন নির্যাতন, মারপিট, ঠিকমতো খাদ্য ও চিকিৎসা না দেওয়াসহ বিভিন্ন অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সাতক্ষীরা সরকারি শিশু সনদের শিক্ষার্থীরা রোববার রাতে শিশু পরিবারের চার কর্মচারীকে গণপিটুনি দিয়েছে। তাদের একজনকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বদলি করে দিয়েছেন। ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসক সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন।
সাতক্ষীরার পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকায় ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত সরকারি শিশু পরিবারে (বালক) এখন বাস করে ৬৮ জন এতিম শিশু। তাদের দেখভাল করার জন্য শিক্ষক কর্মচারীসহ ১৭টি পদের মধ্যে রয়েছে ৯ জন। শিশু শিক্ষার্থীদের অভিযোগ যৌন নির্যাতন, মারপিট, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা না রাখা, ঠিকমতো খাদ্য ও চিকিৎসা না দেওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাদের উপর নির্যাতন করা হয়। এসব বিষয় নিয়ে অভিযোগ করলেই তাদের ওপর নেমে আসে আরও বেশি নির্যাতন। উক্ত চারজন কর্মচারী তাদের ওপর সুযোগ বুঝে বিভিন্ন সময়ে এ নির্যাতন চালায়। এর প্রতিবাদ জানিয়েও কোনো লাভ হয় না বলে জানায় তারা। রোববার রাতে বিকৃত যৌন নির্যাতন চালানোয় শিক্ষার্থীরা চার অভিযুক্তদের গণপিটুনি দিয়েছে।
শিক্ষার্থী উজ্বল হোসেন, আবদুর রহিম , মো. ইব্রাহীম হোসেন, সাকিব, আহসান হাবিব, আজমল হোসেন জানায়, আমরা তাদের নির্যাতনের শিকার। আমরা সব শিক্ষকদের অপসারণ চাই। তারা এ সময় বিকৃত যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনে শিশু পরিবারের কর্মচারী বিমান বৈরাগী, তানভির হোসেন, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, কৌশিক ফারহানের বিরুদ্ধে। শিক্ষার্থীরা আরও জানায়, অভিযোগ করলেই ভারপ্রাপ্ত অফিসসহকারী আব্দুল আলিম ও শিক্ষক মোস্তফা নুরুজ্জামান তাদের উল্টো মারধর দেয়।
তবে অভিযুক্ত চার কর্মচারী জানান, আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সত্য নয়। শিশুরা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে আমরা কঠোর হতেই তারা এসব অভিযোগ দেয়।
শিশু পরিবারের উপ-তত্ত্বাবধায়ক মো. মিজানুর রহমান জানান, আমি এখানে মাত্র তিনদিন যোগদান করেছি। শিশুদের অভিযোগ পেয়ে জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান