খাবারের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় শিশুকে
সুজন কৈরী : চার বছরের শিশু তানহাকে খাবারের লোভ দেখিয়ে বাসায় ডেকে ধর্ষণের পর গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন। গতকাল সোমবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
এর আগে রোববার বিকেলে রাজধানীর বাড্ডার আদর্শনগর এলাকার ৩৬০ নম্বর বাসার বাথরুম থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর রাতে অভিযান চালিয়ে আদর্শনগর এলাকা থেকে ধর্ষক শিপনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর বিভাগ। আব্দুল বাতেন বলেন, তানহা আদর্শনগরের মিনহাজ নামে এক ব্যক্তির বাসায় তার মা-বাবার সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকত। রোববার ওই বাসার পাশে আমিন নামে অপর এক ব্যক্তির বাড়িতে জাহেদা আক্তার কলি নামে নতুন ভাড়াটিয়া আসে। তানহা কলির কাছে যায়। তাকে আন্টি বলে ডাকে। শিপন তার স্ত্রীকে নিয়ে ওই বাড়ির ভিন্ন একটি রুমে ভাড়া থাকে। রোববার বিকাল ৫টার দিকে শিশু তানহা জাহেদার বাসা থেকে শিপনের ঘরের সামনে দিয়ে নিজের ঘরে ফিরছিল। শিপন তখন খাবারের লোভ দেখিয়ে বাচ্চাটিকে টান দিয়ে তার ঘরে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করে। এ সময় তানহা ও শিপনের পরিহিত কাপড়সহ বিছানা রক্তাক্ত হয়ে যায়। তানহা চিৎকার করলে শিপন তার গলা চেপে ধরে হত্যা করে। পরে তানহার লাশ বাসার টয়লেটে ফেলে দেয়। এরপর শিপন রক্তভেজা চাদর, তার গায়ের গেঞ্জি ও পরনের লুঙ্গি বালতিতে ভিজিয়ে রাখে। আব্দুল বাতেন আরও জানান, শিপন ডাকাতি মামলায় ৫ বছর জেলখেটে আসার পর দিনমজুরের কাজ করে। তার স্ত্রী একজন গার্মেন্টসকর্মী।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে গতকাল শিশুটির লাশের ময়নাতদন্ত শেষে ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ড. সোহেল মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, ধর্ষণের পর শিশু তানহাকে শ্বাসরোধে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে। সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী