জলাবদ্ধতার দায়ভার সংশ্লিষ্ট সকলকেই নিতে হবে : এলজিআরডিমন্ত্রী
তরিকুল ইসলাম সুমন : জলাবদ্ধতায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়। এর দায়ভার সংশ্লিষ্ট সকলকেই নিতে হবে। সেবা সংস্থাসমূহকে সমস্যা চিহ্নিত করে সমন্বিতভাবে জলাবদ্ধতা নিরসন করতে হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বর্ষা মৌসুমে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ এবং চট্টগ্রাম মহানগরীসহ সংশ্লিষ্ট এলাকাসমূহে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নিরসন সংক্রান্ত এক সভায় সভাপতিত্বকালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জ দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নগরী। দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ অর্থনীতি এই তিন নগরীর উপর নির্ভরশীল। সাম্প্রতিক জলাবদ্ধতা এ নগরীসমূহের জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করেছে। জলাবদ্ধতা দূরীকরণে সংশ্লিষ্ট সেবা সংস্থাসমূহকে পারস্পরিক দোষারোপ বন্ধ করে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করে সমাধান বের করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকা মহানগরীর আয়তন প্রায় ৩গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। দুটি সিটি কর্পোরেশনে প্রায় ২ কোটিরও বেশি লোক বসবাস করে। ঢাকার ড্রেনেজ সিস্টেম বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের জন্য এখন উপযুক্ত নয়। ঢাকা ওয়াসাকে এ বিষয়ে সমস্যাসমূহ চিহ্নিত করার নির্দেশও দেন তিনি।
মন্ত্রী নতুন বক্স কালভার্ট নির্মাণ বন্ধকরণ এবং বিদ্যমান বক্স কালভার্টের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ; ড্রেন পরিস্কার করণ, নতুন ড্রেন নির্মাণ এবং ড্রেনের কার্যকারিতা মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ; খালসমূহ চিহ্নিতকরণ এবং অবৈধ দখলদার হতে মুক্তকরণ; খালের নাব্য বৃদ্ধির জন্য খালসমূহ পুনঃখনন এবং খাল নিয়মিত পরিষ্কার করণ বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেন। অন্যদিকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যকর করতে রাস্তার পাশের্^ অবস্থিত বিভিন্ন ধরনের ভ্রাম্যমাণ দোকান হতে বর্জ্য ড্রেনে নিক্ষেপন বন্ধকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ; বিভিন্ন প্রকার পলিথিন এবং পলিথিনজাত পণ্য ব্যবহার বন্ধকরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন মার্কেটে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণে সিটি কর্পোরেশনকে আহ্বান জানান। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ