ভোটারের স্বার্থে হলে সীমানা পুনঃনির্ধারণ করা যায়
নির্বাচনকালীন বহু বিষয় এখন পর্যন্ত আলোচনায়ই আসেনি। তবে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা দরকার। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কিভাবে করা যায়, সুনির্দিষ্ট বিষয়গুলোর নিষ্পত্তির জন্য ব্যাপক আলাপ-আলোচনার দরকার। সেসব বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে একটা সিদ্ধান্তের জায়গায় আসা এখনো হয়নি।
‘না’ ভোটের বিষয়ে আমরা বলছিলাম, এটা থাকলে ভালো হয়। আর সামরিক বাহিনীর বিষয়টা তখনই আসবে, যখন প্রতীয়মান হবে যে, নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে পারছে না। আগে নির্বাচনী পরিবেশটা সুষ্ঠু করার প্রয়োজনীয়তার কথা উপলব্ধি করতে হবে এবং তার ব্যবস্থা কিভাবে করা যায় তা নিয়ে ভাবতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য যখন সামরিক বাহিনী আনার কথা আসছে, তার মানে হলো নির্বাচনে আস্থার জায়গাটি এখনো তৈরি হয়নি। তবে আমি মনে করি, একটা সময় সামরিক বাহিনী থাকতে পারে। সামরিক বাহিনী লাগবে কিনা দুই বছর আগে কিভাবে বলব? তার মানে নির্বাচনের পরিবেশ গড়ে তোলার চেয়েও অন্যদিকে মনোযোগ বেশি দেওয়া হচ্ছে।
সীমানা পুনঃনির্ধারণের ক্ষেত্রে জনসংখ্যা, ভোটার সংখ্যা, মোট আয়তন সেগুলো বিবেচনায় আনা এক জিনিস। আর ক্ষমতাসীন লোকদের সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনা করা আরেক জিনিস। এখন বিবেচনা করা উচিত বেশির ভাগ ভোটার ভোট কেন্দ্রে আসতে পারে কিনা। যাতে তারা ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারেন এবং সেই সুবিধা অসুবিধা বিবেচনা করা। কিন্তু জনগণের যদি এই সন্দেহ তৈরি হয় যে, এখন নতুনভাবে ভোটের এলাকা নির্ধারণ করলে, যারা ক্ষমতায় আছেন তাদের যদি সুবিধা হয়, তাহলে সেটা ঠিক হয় হবে না। ইসিকে পরিষ্কার করতে হবে যে, সীমানা পুনঃনির্ধারণ কতটা ভোটারের স্বার্থে আর কতটা শাসক দলের স্বার্থে? ভোটারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলে সেটা করা যায়।
পরিচিতি: সাধারণ সম্পাদক, বাসদ
মতামত গ্রহণ: তানভীন ফাহাদ