আজকালের মধ্যে সমাধান না হলে হজ ফ্লাইটে জটিলতা বাড়ার আশঙ্কা বিমানমন্ত্রীর
তরিকুল ইসলাম সুমন : অতিরিক্ত মোয়াল্লেম ফি, ভিসা প্রিন্টে জটিলতাসহ বেশ কিছু সমস্যার সমাধান আজকালের মধ্যে না হলে হজ ফ্লাইট পরিচালনায় জটিলতা আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। গতকাল সচিবালয়ে হজযাত্রী পরিবহন নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ আশঙ্কার কথা বলেন তিনি।
অপরদিকে ধর্ম সচিব আব্দুল জলিল জানিয়েছেন, এ জটিলতা সমাধানের কাজ চলছে। হাজি পাঠাতে কোনো সমস্যা হবে না। আমরা আমাদের সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করছি। যারা ২০১৬, ২০১৭ সালে হজ করেছেন তাদের অতিরিক্ত ২ হাজার রিয়াল দেওয়ার বিষয়টি বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সৌদির কাছে তা মওকুফেরে জন্য আবেদন জানিয়েছে।
বিমান মন্ত্রী বলেন, যাত্রী সংকটে এ পর্যন্ত বিমানের ১২টি ও সৌদি এয়ারলাইন্সের ৩টি হজ ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। ফলে বিমানের ক্যাপাসিটি লস হয়েছে ৫ হাজার ৩৮০ জন, সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের লস হয়েছে ১ হাজার ২০০ জন। বিমান পরিকল্পনার সময় এই লস হতে পারে ধারণা করে অতিরিক্ত ফ্লাইটের ব্যবস্থা করে রেখেছে। কিন্তু আজকালের মধ্যে যদি সমস্যার সমাধান না হয়, তখন এটা একটা সমস্যা হিসেবে দাঁড়িয়ে যাবে।
বিমানমন্ত্রী বলেন, যেখানে ভিসা হয়েছে ৪৬ হাজার ৭৯২ জন, সেখানে হাজী গেছেন ২৯ হাজার ৮৩৯ জন। ১৭ হাজার হাজী যাদের যাওয়ার কথা ছিল তারা যেতে পারেননি। এখন জেদ্দায় আমাদের অবশিষ্ট যে হাজী পরিবহন করতে হবে তার সংখ্যা প্রায় ৪৭ হাজার ৭৬১ জন। বিমান ও সৌদি এয়ারলাইন্স মিলে এই পরিবহন করতে হয়। আমারা চাই নির্বিঘেœ এ পরিবহন সম্পন্ন হোক। ২৬ আগস্ট বিমান ও ২৮ আগস্ট সৌদি এয়ালাইন্স সৌদি আরব যাওয়ার শেষ ফ্লাইট পরিচালনা করবে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, এবার সৌদি সরকার মোয়াল্লেম ফি বৃদ্ধি করেছে। এতে ৯১টি এজেন্সি নিয়ে সমস্যা হয়। ১৮-২০ হাজার হজযাত্রীর ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। আজকের তথ্য হচ্ছে বারকোড তারা পাচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, ই-ভিসার প্রিন্টের ক্ষেত্রে অসুবিধা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কোনো গ্রুপে ১০০ জন থাকলে সেখানে ১৬ জনের ভিসা না হলে পুরো গ্রুপ ক্যান্সেল (ফ্লাইট) হয়ে যায়। এটা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ